জুয়েল আহমেদ, রাজশাহী থেকে:-
রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রধান ফটকের সামনে বিক্রি হচ্ছে বাঁশ ও বাঁশের তৈরি চরাট। রোববার (২৮ অক্টোবর) বেলা ১১ টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মোঃ রেজাউল (৬২) নামের এক ব্যক্তি জনগণের চলাচলের রাস্তা ফুটপাত দখল করে এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর দেয়াল ঘেঁষে রেখেছে বাঁশ ও বাঁশের তৈরি চরাট।
এতে জনগণের চলাচলের ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা জানায়, আমাদের হাঁটাচলার রাস্তা ঘিরে বাঁশ ও বাঁশের তৈরি চরাট রেখে ব্যাপক সমস্যা সৃষ্টি করেছে বাঁশ বিক্রেতা। সরকার ফুটপাত তৈরি করেছে জনগণের হাঁটা চলার জন্য কিন্তু সেই ফুটপাত যদি দখল করে রাখে তাহলে আমরা চলাফেরা করবো কিভাবে।
এ সকল অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য আমাদেরকে চলাফেরা করতে হয় সড়ক দিয়ে, ফলে সড়কের যানজটের সৃষ্টি হয় এবং সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা পায়ে হাঁটা রাস্তা ফুটপাত থেকে বাঁশ সরানোর জন্য কলেজের প্রিন্সিপালকে অভিযোগ দিয়েছেন। এ সময় বাঁশ বিক্রেতা মোঃ রেজাউলকে রাস্তা দখল করে, জনগণের চলাচলের সমস্যা করে, বাস বিক্রি করার অনুমতি কে দিয়েছে প্রশ্ন করা হলে, তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
বাঁশ বিক্রেতা রেজাউল অপরাধ স্বীকার করে বলেন, আমি কয়েকদিন সময় নিয়েছি বাঁশগুলো শেষ হলে আমি চলে যাব। কার কাছে সময় নিয়েছেন প্রশ্ন করলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে সেখান থেকে চলে যান। এ বিষয়ে রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ আব্দুর রশীদ মল্লিক সাক্ষাৎকারে বলেন, আমি ইতিপূর্বে বাঁশের স্তপ ফুটপাত থেকে সরানোর জন্য পুলিশ কমিশনার বরাবর চিঠি দিয়েছি। গত ১৯ অক্টোবর তারিখে পুলিশ এসেছিল।
কিন্তু তারপরেও ফুটপাত দখল করে রেখেছে বাঁশ ব্যবসায়ী। বাঁশের স্তুপ করে চলাচলের রাস্তা ফুটপাত দখল করে রাখার কারণে আমাদের এবং শিক্ষার্থীদের চলাচলের সমস্যা হয়। আমি আবারো পুলিশ কমিশনার বরাবর চিঠি দিব বলেন তিনি। এ বিষয়ে চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাহাবুব আলম এর মুঠোফোনে ফোন দেয়া হলে তিনি বলেন, এর আগে মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে আমি একবার ফুটপাত থেকে বাঁশ উঠিয়ে দিয়েছিলাম। আবার বসেছে আমার জানা নাই। আপনার কাছে শুনলাম, আমি খুব দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করব বলেও জানান ওসি।
আজকের নলজুর/২৯অক্টোবর২৩/বিডিএন