মোঃ মুনজুর রহমান, রাজশাহী প্রতিনিধি :-
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার উজানখলসি এবং আলিপুর চলছে জামাই মেলা, মেলাটি শুরু হয় আশ্বিন মাসের শেষ দিন থেকে মেলাতে বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেক দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন আনন্দ পিপাসী হাজারো হাজারো মানুষ।
যদিও এক সময় মেলাটির নাম ছিল ঘোড়াদহের মেলা এখানে চলতো বিশাল বিশাল আকারের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত নৌকা, আর সেই নৌকাগুলোর চলতো বাহাজ, বসতো হরেক রকম খাবারের দোকান মিষ্টি মিষ্টান্ন থেকে শুরু করে সব ধরনের খাবারের দোকান, চলতো মাংস বিক্রি এখানে যবেহ হতো দেড়শ থেকে ২০০ পিস গরু মহিষ এবং খাসি, বসতো খেলনা দোকান, কসমেটিকস দোকান।
বিভিন্ন ধরনের ফার্নিচার, পোশাক, বিশেষ করে শীতের সস্তা থেকে অনেক উন্নত দামের উন্নতমানের শীতের কম্বলের দোকান, চলতো বিভিন্ন রকম গ্রামীণ যাত্রাপালা, সার্কাস, লটারি, বিভিন্ন খেলাধুলা এই মেলাতে বিশেষ করে আত্মীয়-স্বজন দেরকে দাওয়াত করে অনেক আনন্দ ফুর্তি করেন এলাকার লোকজন।
তবে যুগের কালের পরিবর্তনে মেলা কে এখন ঘোড়াদহের মেলা বলা হয় না বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জামাই মেলা বলা হয়, আর বিশেষ করে এই মেলাতে প্রত্যেক জামাইকে শ্বশুর বাড়িতে আসতেই হবে মেলার দিন, না হলে মেলাই জমবে না।
তবে মেলাটি এখনো হয় কিন্তু আগের মত নৌকা বাহাজ, যাত্রাপালা, সার্কাস, লটারি, বিভিন্ন খেলাধুল এগুলো আর হয়না, কারণ মেলাটি ছিল আগে দুর্গাপুরের উজানখলসিতে আর এখন মেলা কমিটির মধ্যে কালের বিবর্তনে যুগের পরিবর্তনে বিভিন্ন গ্রুপিং লবিং এর কারণে উজানখলসি থেকে ভাগ হয়ে মেলা অর্ধেক চলে এসেছে আলিপুরে।
তবে আগের মত সবকিছুই আছে কিন্তু নেই দেড়শ থেকে ২০০ পিস গরু মহিষ ছাগল যবেহ, তবে যদিও হয় হাতেগোনা দু চারটে, নেই যাত্রাপালা সার্কাস লটারি বিভিন্ন রকম খেলাধুলা নৌকাবাহাজ। তবে মেলাতে এখনো হাজার হাজার মানুষের সমাগম হলেও নেই আর আগের মতো আনন্দ।
আঃনঃ/১৬অক্টোবর২৩/বিডিএন