1. admin@ajkernaljur.com : admin :
নগরকান্দায় বন কর্মকর্তার ভূমিকায় মালি, সড়কের গাছ কেটে সাবাড় - আজকের নলজুর
২৭শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১৩ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| বর্ষাকাল| শুক্রবার| দুপুর ১:৩০|

নগরকান্দায় বন কর্মকর্তার ভূমিকায় মালি, সড়কের গাছ কেটে সাবাড়

রিপোর্টার
  • আপডেটের সময় : রবিবার, নভেম্বর ৫, ২০২৩,
  • 98 দেখা হয়েছে

মিজানুর রহমান,নগরকান্দা(ফরিদপুর)প্রতিনিধি:-

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা বনবিভাগের মালি আরিফুজ্জামান বন কর্মকর্তার ভূমিকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মালি আরিফুজ্জামান প্রায় দুই বছর যাবত নগরকান্দা বনবিভাগ (ফরেস্ট) অফিসে যোগদান করেন।এর পূর্বে তিনি পার্শ্ববর্তী সালথা উপজেলায় মালি হিসবে কর্মরত ছিলেন।

নিজ উপজেলায় যোগদান করার পর থেকে নিজের মোটরসাইকেলে বনবিভাগ ফরিদপুর লিখে বন কর্মকর্তার ভূমিকায় উপজেলার বিভিন্ন সড়কে টহলদারী করছেন।পাশাপাশি সড়কের গাছ কেটে সাবাড় করছেন বলে একাধিক সুত্রে জানা যায়। ঝড়ের কবলে পড়া গাছ, মরা গাছ অফিসের কাওকে না জানিয়ে তিনি গোপনে কেটে সাবাড় করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। মরা গাছ কাটার সময় কৌশলে তাজা গাছ কেটে নিয়ে বিক্রি করে অর্থ হাতিয়ে নেয়।

গত ৬ নভেম্বর রাতে ঝড় হয় সড়কে কিছু মরা ও তাজা গাছের ডালপালা ভেঙ্গে পড়ে।বনবিভাগের মালি আরিফুজ্জামান অফিসে কর্মকর্তাকে না জানিয়ে গাছের গোড়া থেকে কেটে নিয়ে নিজের বাড়ির পাশে কাইচাইল ইউনিয়নের সুতারকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে কাটা গাছের গুড়ি ও ডালপালা রেখে দেয়।গাছ কাটার বিষয় স্হানীয় লোকজন সংবাদ কর্মীদের মাধ্যমে বন বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানালে তাদের ফোনে নড়েচড়ে বসে নগরকান্দা বন কর্মকর্তা।তদন্তে ছুটে জান গাছ কাটা,কাটা গাছ রাখার স্থানে।

গাছ কাটার সততা পান এবং কাটা গাছ গুলোর সিজার লিস্ট তালিকা করেন।গাছের গুড়ি তালিকা করার পর কাটা গাছের কিছু গুড়ি রেন্জার অফিসে পাঠান এবং কাটা গাছের কয়েকটি গুড়ি ও ডালপালা কৌশল রেখে দেয় মালি। পুনরায় সংবাদকর্মীরা বন কর্মকর্তা কে গাছের গুড়ি রাখার বিষয়ে জানালে কাটা গাছের একটি গুড়ি উদ্ধার করে উপজেলা বন কর্মকর্তার অফিসের সামনে রাখলেও কিছু কাটা গাছের গুড়ি ও ডালপালা সেই পূর্বের স্থানেই রয়েছে।

এছাড়া নগরকান্দা চাঁদহাট সড়কের বড় শ্রীবরদী গ্রামের ব্রীজ নির্মাণ স্থানে বড় একটি রেন্ডী কড়াই গাছ কাটা হয় কিন্তু সেই গাছের ডাল এর কাটা একাধিক লগ কৌশলে পাশের উপজেলা মুকসুদপুর চাদঁহাট ব্রীজ সংলগ্ন নারানপুর জৈনক স- মিলে নিয়ে রাখে। গাছের মোটা লগ গুলো বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। তবে পুরাতন ব্রীজ ক্রয়কারীরা ও জড়িত ছিল বলে স্হানীয় লোকজন জানান।বন বিভাগের মালি আরিফুজ্জামান সালথা উপজেলায় চাকরিরত অবস্থায় তার বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ থাকার কথা শুনা যায়।

মালি আরিফুজ্জামান বলেন ঝড়ে গাছ রাস্তার উপর পড়ে, ফায়ার সার্ভিসের লোকজন গাছ কাটলে আমি কাটা গাছের গুড়ি ও ডালপালা আমার বাড়ির পাশে রাখি।এবিষয়ে অফিসে বা উর্তন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানায়নি।

এবিষয় নগরকান্দা ফায়ার সার্ভিস জানায় রাতেঁ ঝড়ে কিছু গাছের ডালপালা রাস্তায় ভেঙ্গে পড়ায় কেটে রাস্তার পাশে রাখি কিন্তু গাছের কোন গুড়ি কাটা হয়নি। এবিষয় নগরকান্দা উপজেলা বন কর্মকর্তা মোঃ এনামুল হক বলেন মালি আরিফুজ্জামান গাছ কাটার ব্যাপারে কোন কিছু জানায়নি, আমরা উর্ধতন কর্মকর্তাদের ফোনে গাছকাটার বিষয় জানতে পারি এবং গাছের গুড়ি গুলো জব্দ করে রেঞ্জার অফিসে পাঠিয়েছি, কিছু ডালপালা মালি আরিফুজ্জামান এর বাড়ির পাশে রাখা হয়েছে সেগুলোও জব্দ তালিকায় রাখা হয়েছে।

এছাড়া আমি প্রায় ৪ মাস ধরে নগরকান্দা উপজেলায় এসে যোগদান করছি। বনবিভাগের রেঞ্জার অফিসের একাধিকবার ফোন দিলে ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য জানা যায়নি।

আজকের নলজুর/০৫নভেম্বর২৩/বিডিএন

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরণের আরো খবর
© All rights reserved © 2023 আজকের নলজুর
Design and developed By: Syl Service BD