লেখক- জসিম উদ্দীন মাহমুদ তালুকদার
যুদ্ধ নয় শান্তি আসুক ইসরাইল -প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রে। সভ্যতার সত্যিকার আলোয় প্রোজ্জ্বল হোক মানব মস্তিষ্ক।
বৈষম্য এবং যুদ্ধ ব্যাপারগুলো নিশ্চিহ্ন হোক এই পরম সুন্দর পৃথিবী থেকে। মানুষ বেঁচে থাকুক সভ্য মর্যাদাবোধ নিয়ে।
মানুষের পৃথিবীর সনির্বন্ধ অন্ধকার মুছে গিয়ে যেদিন আলোক আচ্ছন্নে বিভোর সব রকম প্রার্থনা,
মৃত নদীর পাড়ে সমস্ত ঘাম ধুয়ে আবার যেদিন ডানা ঝাপটাবে রণক্লান্ত কবি কিংবা যোদ্ধাদল ;
জলপাইরঙের এক ভোর উপহার দিবে তোমরা তোমাদের সদ্যজাতকে।
মেরুদণ্ড বেয়ে বর্তুল রোদ অঙ্গার হতে হতে মস্তিষ্কে পৌঁছুবে,শান্ত- দৃঢ়তায়।
সেদিন তোমাদের প্রশস্ত চোখজোড়া হবে সঙ্গীতময় ও কাব্যিক পরমানন্দের। মূর্তরূপ উর্ধ্বহস্তে কেবলি বিম্বিত হবে ঈপ্সিত রৌদ্রচ্ছটা।
অগাধ অন্ধকার বিগলিত হবে রূঢ় আলোর ফোয়ারায়,
অথচ! সেই রূঢ়তাই তোমাদের নতুনত্ব শেখাবে, ক্রান্তি আলোর অমেয়তায় যে জীবন ভষ্ম হয়েছে অন্ধকারে ম্লান হতে হতে।
প্রলম্বিত চিহ্নের মতো মানুষের পৃথিবী কেবল মানুষের হবে ; মসজিদ-প্যাগোডা-গীর্জা-মন্দির প্রষ্পুটিত হবে সাম্যর মিছিলে।
কোমল পায়ে মানুষের শরীর হেঁটে যাবে হেমলক থেকে সমস্ত বিষ-বৈষম্য শুষে নিতে।
একদিন এই পৃথিবী কেবলি মানুষেরই হবে :
শাণিত অসির ধাতবে হয়তো ঝিলিক দেবে মৃণ্ময়ী সুখ।
লেখক পরিচিতি :- জসিম উদ্দীন মাহমুদ তালুকদার
চিকিৎসক ও মানবাধিকার সংগঠক,
প্রতিষ্ঠাতা- চট্টগ্রাম সাহিত্য কুটির।
আজকের নলজুর/০৫নভেম্বর২৩/বিডিএন
লেখাটি চমৎকার। তবে একটি কথা না বললেই নয়! বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী ‘ইসরাইল’ নামক কোন দেশ বা রাষ্ট্র স্বীকৃত নয়। তাছাড়া ইহুদীরা প্যালেস্টাইনে জবরদখল করেছে। সাধারণ মানুষ হত্যা করছে। বিশ্বমানচিত্রে ‘ইসরাইল’ নামক রাষ্ট্রের ঢুকিয়েছে। অথচ চীনের মতো পরশক্তিশালী দেশও তাদের বিশ্ব মানচিত্রে ‘ইসরাইল’ নামক রাষ্ট্রের কোন অস্থিত্ব নেই। আছে শুধু প্যালেস্টাইন। অতএব রাষ্ট্র হিসেবে জনৈক দেশের নাম নেয়া মানে পক্ষান্তরে তাকে স্বীকৃতি দেয়া। সুতরং বিরত থাকা উচিত।