বিজয় সাহা, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ-
মহারাস লীলা’ বা ‘রাস উৎসব’। প্রতি বছর অগ্রহায়ণ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয় রাস উৎসব। এই উৎসব শুধু মৌলভীবাজারের মণিপুরীদের জন্যই রাস উৎসব নয় বরং এটি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অন্যতম বড় মেলা। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য পর্যটক এ উৎসবে শামিল হতে ছুটে আসেন শত বছরের পুরোনো মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুরের শিববাজারে জোড়ামণ্ডপে ১৮০ বছর এবং আদমপুরের তেতইগাঁওয়ে প্রায় ৪০ বছর ধরে মণিপুরীদের রাস উৎসব উদযাপিত হয়ে আসছে।
গত (২৭নভেম্বর) তুমুল হইচই আর আনন্দ-উৎসাহ নিয়ে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মণিপুরী অনুরাগ নৃত্যালয় সংগঠনের নিত্য শিল্পি কেয়া সিনহা। ঢাক-ঢোল, খোল-করতাল আর শঙ্খধ্বনির মধ্য দিয়ে হিন্দুধর্মের অবতার পুরুষ শ্রীকৃষ্ণ ও তার সখী রাধার লীলাকে ঘিরে জমে উঠেছিল রাস উৎসব।
রাস উৎসবে মণিপুরী সম্প্রদায়ের পাশাপাশি জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে অন্যরাও মেতে উঠবেন একদিনের এই আনন্দ ধামাকায় মহারাত্রীর আনন্দের পরশ পেতে আসা হাজার হাজার নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর, কবি-সাহিত্যিক, সাংবাদিক, দেশি-বিদেশি পর্যটক, জ্ঞানী-গুণী লোকজনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠবে মাধবপুর ও আদমপুরের মণ্ডপ প্রাঙ্গণ। মণিপুরী রাসলীলার উৎপত্তি১৭৫৯ খ্রিষ্টাব্দে মণিপুরের তৎকালীন মহারাজা ভাগ্যচন্দ্র অগ্রহায়ণ মাসের শুক্লা পূর্ণিমাতে মহারাস প্রথমবারের মতো লীলা উৎসব প্রবর্তন করেন।
এরপর থেকে অগ্রহায়ণ পূর্ণিমা তিথিতে গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বী মণিপুরীদের প্রধান ধর্মীয় মহোৎসব শ্রী শ্রী কৃষ্ণের মহারাস লীলা পালিত হয়ে আসছে।
আজকের নলজুর/০২ডিসেম্বর২৩/বিডিএন
সম্পাদকঃ জুবায়ের আহমদ হামজা, বার্তা সম্পাদকঃ বিপ্লব দেবনাথ। অফিস: ব্যারিস্টার মির্জা আব্দুল মতিন মার্কেটে, জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ।
Email:- ajkernaljur@gmail.com Mob:- 01880597469