1. admin@ajkernaljur.com : admin :
নগরকান্দায় বন্যা আশ্রয়ন কেন্দ্র দখল করে বিদ্যালয়, ম্যানেজিং কমিটির প্রতারণা - আজকের নলজুর
২৭শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১৩ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| বর্ষাকাল| শুক্রবার| সকাল ১০:৩২|

নগরকান্দায় বন্যা আশ্রয়ন কেন্দ্র দখল করে বিদ্যালয়, ম্যানেজিং কমিটির প্রতারণা

রিপোর্টার
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ডিসেম্বর ২, ২০২৩,
  • 90 দেখা হয়েছে

মিজানুর রহমান,ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি :-

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় ডাঙ্গী ইউনিয়নের যদুরদিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় নামকরণ নিয়ে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ত্রাণ ও দূর্যোগ মন্ত্রণালয়ের নির্মিত সরকারি বন্যা আশ্রয়ন কেন্দ্র (ভবন) দখল করে বন্যা আশ্রয়ন কেন্দ্র কাম একাডেমিক ভবন যদুরদিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় নামকরণ করে নানান অভিযোগ উঠেছে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যের বিরুদ্ধে।

অন্যত্র বিদ্যালয়ের নামে জমি দেখিয়ে জমি দাতা সাজিয়ে কৌশলে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে স্বীকৃতি করিয়ে আনেন স্কুল ম্যানেজিং কমিটি। নিয়োগ বানিজ্যের মাধ্যমে শিক্ষক ও কর্মচারীদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি। ২০০০ ইং সালে বন্যা আশ্রয়ন কেন্দ্র ভবন নির্মান করা হয়।

বন্যা আশ্রয়ন কেন্দ্র দখল করে বিদ্যায়টির কার্যক্রম চলে আসছে।বিদ্যালয়ের শুরু থেকে ৯ জন শিক্ষক, ১ জন অফিস সহকারী,১ জন আয়া,১ জন নৈশপ্রহরী নিয়োগ নেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।বর্মানে ১০ জন শিক্ষক রয়েছে বিদ্যালয়ে।উপজেলা মাধ্যমিক সূত্রে জানা যায় ২০০৪ ইং সালে নিম্ম মাধ্যমিক চালু থাকলেও ২০১৯ ইং সালে মাধ্যমিক স্বীকৃতি পায়।২০১০ ইং সালে বিদ্যালয়টি এমপিও করন হয়।

বিদ্যালয়ের নিজস্ব কোন ভবন নেই।বিদ্যালয়ের জমিদাতা মোট তিনজন হলেও তাদের মধ্যে ১ জন জমিদাতা বিদ্যালয়ের দপ্তরী পদে নিয়োগ প্রাপ্ত আইয়ুব আলী।সেই দেখানো নিয়োগে নিয়োগ প্রাপ্ত আয়া ও নৈশপ্রহরীর বেতন চালু হলেও আজ ১৫ বছর পেরিয়ে গেলেও দপ্তরী আইয়ুব আলীর বেতন চালু হয়নি।

বিদ্যালয়ের নেই প্রধান শিক্ষক। সহঃ শিক্ষক দিয়েই চলছে কার্যক্রম।সহঃ সিনিয়র শিক্ষক জাকির হোসেন বহাল থাকা সত্বেও অন্য স্কুল থেকে আসা সহকারী শিক্ষক মোঃ রাশেদুল হক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ রাশেদুল এর ক্ষমতার মসনদে থাকায় প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারেও নেই কোন ভূমিকা।

বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির একাধিকবার নির্বাচিত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন স্হানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম। বিদ্যালয়ে খাতা কলমে শিক্ষার্থীদের নাম থাকলেও উপস্থিত সংখ্যা কম।তবুও নিয়োগ বানিজ্যের নামে দুই প্রার্থীর নিকট থেকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রাশেদুল হক সহ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি মোটা অংকের টাকা নেওয়ার পায়তারা করছেন।

গত ২০১৯ সালে, পদে নিয়োগ নেওয়ার কথা বলে সাবিনার কাছ থেকে নগদ ১ লাখ টাকা নেয়।টাকা লেনদেন সময় স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য তার বাসুর রাজ্জাক মাতুব্বর এর মাধ্যমে টাকা দেয়। টাকা নেওয়ার প্রায় পাঁচ বছর পার হলেও তার নিয়োগ হয়নি এমনকি আজও টাকা ফেরত দেয়নি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কাজী আবুল কালাম।

ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক মোঃ রাশেদুল হক বলেন, পরিছন্নকর্মী ও অফিস সহকারী পদে দুইজনকে নিয়োগ দিব তাদের কাছ থেকে তিন তিন ৬ লাখ টাকা নিব এবং সেই টাকা থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আমারা সাবিনাকে ফেরত দিয়ে দিব।ভুক্তভোগী সাবিনা বলেন স্কুলে চাকরির জন্য সুদে করে ১ লাখ টাকা ব্যাংক থেকে এনে দেই এখন বলে আমার বয়স বেশি তাই চাকরি হবেনা। সুদে ১ লাখ টাকায় দেড় লাখ টাকার বেশি হয়েছে।টাকা না দিতে পারায় ব্যাংক থেকে আমার নামে মামলা করেছে।এছাড়া টাকা ফেরত দিবে দিবে বলে আজও টাকা ফেরত দেয়নি।

বিদ্যালয়ের অফিস সহকারীর জিল্লুর রহমান বলেন সাবিনার কাছ থেকে টাকা নিয়ে স্কুল স্বীকৃতির জন্য প্রধান শিক্ষক মোঃ রাশেদুল হক ও আমি নিজে গিয়ে সভাপতি কাজী আবুল কালাম এর হাতে ফরিদপুর ডায়াবেটিস হাসপাতালে দিয়ে আইছি। বিদ্যালয়ের বার বার নির্বাচিত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কাজী আবুল কালাম বলেন, আমাকে সভাপতি দিয়ে রাখে শুধু, প্রধান শিক্ষক আমার হাতে একটি টাকাও দেইনি সে একটা ম্যান্ডেল পাগল।

এছাড়া বন্যা আশ্রয়ন কেন্দ্র দখল করে স্কুল খুলে তারা ব্যবসা করছে।এছাড়া স্কুলের নামে কোন জায়গা নেই যে জায়গা দেখানো হয়েছে তা আশ্রয়ন কেন্দ্র থেকে ৩ শ থেকে ৪ শ গজ উত্তরে। সেই জমিতে ধান চাষ করা হয়েছে।ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রধান শিক্ষক মোঃ রাশেদুল হক বিদ্যালয়ের নামে কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।

নিয়োগ দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার কথা তিনি স্বীকার করেন। ম্যানেজিং কমিটির সহ সভাপতি ডাব্লু মিয়া নিয়োগ দিবার কথা বলে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। বিদ্যালয়ের প্যাডে কমিটির স্বাক্ষর করে টাকা নেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ ফজলুল হক বলেন, “পরের জমি পরের বাড়ি ঘর বানাইয়া আমি রই আমি কি সে ঘরের মালিক হই” যেখানে বিদ্যালয় নামকরন করে তারা পাঠদান করছে সেই ভবন ত্রাণ ও দূর্যোগ মন্ত্রনালয়ের বন্যা আশ্রয়ন কেন্দ্র। বিদ্যালয় হচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের, কারন মন্ত্রণালয়ই ভিন্ন। স্কুলের নামে কোন জমি নেই,যে দাতা স্কুলের নামে জমি দিয়েছে সেই জমি তার নামেই রেকর্ড, সেই নিজে চাষবাস করে খাচ্ছে।

বন্যা আশ্রয়ন কেন্দ্র থেকে দুরে চকের মধ্যে ৩ শ গজের বেশি দুরে হবে।এছাড়া জমিদাতার নিয়োগ হলেও আজ ১৫ বছর ধরে তার কোন বেতন চালু হয়নি তবে জমির দখল ছাড়বে সে কি করে।প্রধান শিক্ষক কে বলে দিয়েছি আগে তার বেতন চালু করেন তারপর আমার কাছে আসেন, জমি ঠিক করে সেখানে ছাপড়া ঘর তুলে ক্লাস নেওয়া শুরু করেন তারপর ভবনের আবেদন করলে আমি চেষ্টা করে ভবনের ব্যবস্হা করে দিব বলে জানিয়ে দিয়েছি।

বন্যা আশ্রয়ন কেন্দ্রে বিদ্যালয়ের নাম করন করে কৌশলে বিদ্যালয়ের স্বকৃীত ও নিয়োগ বানিজ্যের নামে টাকা আত্মসাৎ করায় বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ রাশেদুল হক ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উধর্তন কতৃপক্ষের নিকট জোরদাবী ভুক্তভোগী সহ এলাকাবাসীর।

আজকের নলজুর/০২ডিসেম্বর২৩/বিডিএন

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরণের আরো খবর
© All rights reserved © 2023 আজকের নলজুর
Design and developed By: Syl Service BD