1. admin@ajkernaljur.com : admin :
জগন্নাথপুরে আগুনে পোড়া লাশের পরিচয় শনাক্ত, মেয়ে বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের - আজকের নলজুর
২৭শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১৩ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| বর্ষাকাল| শুক্রবার| বিকাল ৩:১৯|

জগন্নাথপুরে আগুনে পোড়া লাশের পরিচয় শনাক্ত, মেয়ে বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের

রিপোর্টার
  • আপডেটের সময় : শনিবার, জানুয়ারি ২০, ২০২৪,
  • 194 দেখা হয়েছে

জগন্নাথপুর বিশেষ প্রতিনিধি:-

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে অজ্ঞাত নারীর আগুনে পোড়া লাশের পরিচয় পেয়েছে পুলিশ। নিহতের নাম- পিয়ারা বেগম ওরফে রিনা বেগম (৫৩), তিনি দিরাই উপজেলার মাতারগাঁও গ্রামের চন্দন মিয়ার স্ত্রী।

শুক্রবার এ ঘটনায় থানায় অজ্ঞাতদের আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এর আগে- গত বুধবার জগন্নাথপুর শহরের ইকড়ছই জামিয়া মাদ্রাসার পেছনের চারা খেতে আংশিক আগুনে পোড়া নারীর মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে।

জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের নলজুর পত্রিকাকে জানান- ওই নারীর দুটি বিয়ে হয়। দ্বিতীয় স্বামী চন্দন মিয়ার সঙ্গেও অনেক দিন ধরে সম্পর্ক নেই। ময়নাতদন্ত শেষে ওই নারীর পরিচয় পাওয়ার পর তাঁর মেয়ের পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাঁর মেয়ে বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার সকালে জগন্নাথপুর পৌর শহরের ইকড়ছই জামিয়া ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার পেছনে চারা খেতে আগুনে পোড়া অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে।

পরে সিআইডি ও পিবিআই বিশেষজ্ঞ দল ওই নারীর আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করে জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে তাঁর ছবি ও নাম- ঠিকানা সংগ্রহ করে।

এরপর থেকে নারীর স্বজনদের সন্ধানে অভিযানে নামে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাতে দিরাই উপজেলার টংগর গ্রামে ওই নারীর মেয়ে সুভা বেগমের সন্ধান পায় পুলিশ।

বাদী সুভা বেগম আজকের নলজুর পত্রিকাকে জানান- ৩০ বছর আগে আমার বাবার সঙ্গে মায়ের বিচ্ছেদের পর তিনি চন্দন মিয়াকে বিয়ে করেন। পাঁচ বছর আগে আবার চন্দন মিয়ার সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়। এরপর তিনি আমার স্বামী বাড়ি থাকতেন।’

তিনি আরও বলেন- এক মাস আগে তিনি আমার খালার বাড়ি দিরাই উপজেলার রায়বাঙ্গালী গ্রামে বেড়াতে যান। সেখান থেকে গত মঙ্গলাবার ছাতক উপজেলার শ্রীমতিপুর যাওয়ার পথে তিনি নিখোঁজ হন। পরে পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে মর্গে গিয়ে মায়ের আগুনে পোড়া মরদেহ দেখতে পাই। আমার মাকে খুন করা হয়েছে। কে বা কারা করেছে তা জানি না।

সহকারী পুলিশ সুপার (জগন্নাথপুর সার্কেল) সুভাশীষ ধর জানান- আগুনে পোড়া ওই নারীর মরদেহ পাওয়ার পর থেকে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। প্রথমে আঙুলের চাপ মাধ্যমে তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করা হয়। জাতীয় পরিচয়পত্রের ঠিকানা অনুযায়ী ছাতক উপজেলায় খোঁজ নিয়ে তাঁর স্বজনদের পাওয়া যায়নি।

পরে দিরাই উপজেলায় তাঁর স্বজনদের খোঁজ পাওয়া যায়। পরিচয় শনাক্তের পর এখন আমরা এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন ও জড়িতদের গ্রেফতারের কাজ করছি। আশা করছি, দ্রুতই আমরা হত্যার রহস্য উদঘাটন সহ অপরাধীদের ধরতে পারব।

আজকের নলজুর/২০জানুয়ারি২৪/বিডিএন

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরণের আরো খবর
© All rights reserved © 2023 আজকের নলজুর
Design and developed By: Syl Service BD