মোঃ মুকিম উদ্দিন জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:-
দ্বিতীয় দফায় বর্ধিত সময়ের মধ্যে শেষ হয়নি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার হাওরের ফসল রক্ষা বেরীবাঁধের কাজ। দ্বিতীয় দফা বর্ধিত সময়েও শেষ হয়নি। বুধবার দ্বিতীয় দফা সময় বাড়ানো শেষ হয়েছে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফসলরক্ষা বেড়িবাঁধের কাজ শেষ না করায় তিন প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি পিআইসির দায়িত্বশীল তিন সভাপতিকে শোকজ (নোটিশ) করা হয়েছে।
সরেজমিনে হাওর ঘুরে দেখা যায়, এখন পর্যন্ত কয়েকটি প্রকল্পে মাটির কাজ বাকী রয়েছে। আবার কিছু কিছু প্রকল্পে ঘাস লাগানো ও ড্রেসিং চলছে। দেশের সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার অন্যতম সর্ববৃহৎ হাওর নলুয়ার হাওরে দেখা গেছে ৮, ১১.১৪ নম্বর প্রকল্পে সময় শেষ হওয়ার পর এখনও অনেক জায়গায় মাটি ফেলার বাকি রয়েছ।
মাটির কাজ শেষ করতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। তবে বৃষ্টি হলে কাজ আরও পিছিয়ে যেতে পারে। ৯,১০ নম্বর প্রকল্পে মাটি কাজ শেষ হলেও ড্রেসিং সহ আনুষাঙ্গিক কাজ বাকি রয়েছে।
৮ নম্বর প্রকল্পের সভাপতি সুজাত মিয়া বলেন, মেশিন নষ্ট হওয়ায় কিছু দিন কাজে বিলম্ব হয়েছে। বর্তমানে খুব দ্রুত কাজ চলছে। কাজ শেষ হতে দই এক দিন লাগতে পারে।
১১ নম্বর প্রকল্পের সভাপতি মফিজ আলী বলেন, প্রকল্পের মাটির কাজ শেষ হয়ে গেছে। ঘাস লাগানো ও ড্রেসিং এর কাজ চলবে।
১৪ নম্বর প্রকল্প ঘুরে দেখা যায় অনেক জায়গায় মাটি পড়েনি এখনও। প্রকল্পের সদস্য চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ অংশের মাটির কাজ শেষ। ১৪ নম্বর প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ।
হাওর বাঁচাও আন্দোলন জগন্নাথপুর উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধের কাজ শেষ করার নিয়ম থাকলেও কাজ শেষ না হওয়ায় দ্বিতীয়দফা ৬ মার্চ পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। বর্ধিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়া দুঃখজনক। তিনি বলেন, হাওরে এখনো ২০ প্রকল্পের কাজ অসমাপ্ত রয়েছে তাই আগাম বন্যার ঝুঁকি নিয়ে চিন্তিত আমরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী সবুজ কুমার শীল জানান, সময়মতো কাজ শেষ না করায় ৮, ১১,১৪ নম্বর প্রকল্প কমিটির সভাপতি কে শোকজ করা হয়েছে। আজ জবাব দেওয়ার শেষ সময়। এবার ৩৩ টি প্রকল্পের মাধ্যমে চার কোটি টাকা ব্যয়ে এ উপজেলার ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধের কাজ হচ্ছে। আমরা মাঠে তদারকিতে আছি।
গতকাল নলুয়া হাওর পরিদর্শন শেষে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল বশিরুল ইসলাম স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, নলুয়া হাওরের ১ থেকে ১৪ নম্বর প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেছি। এরমধ্যে ৮, ১১ ও ১৪ নম্বর প্রকল্পের এখনও কাজ শেষ হয়নি। তবে আগামী শুক্রবারের মধ্যে হয়তো শেষ হয়ে যাবে। অপর প্রকল্পের কাজ সন্তোষজনক।
জগন্নাথপুরে এরমধ্যে ৯০ শতাংশ বাঁধের কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে তিনি জানান। বাঁধের কাজে আর কোন সময় বাড়ানো হবে কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে বলেন, এবিষয়ে জেলা কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবেন।
আজকের নলজুর/০৭মার্চ২৪/বিডিএন