1. admin@ajkernaljur.com : admin :
রক্তের সঞ্চয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা - আজকের নলজুর
২৭শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১৩ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| বর্ষাকাল| শুক্রবার| সকাল ১১:৩৫|

রক্তের সঞ্চয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা

রিপোর্টার
  • আপডেটের সময় : সোমবার, মার্চ ২৫, ২০২৪,
  • 81 দেখা হয়েছে

চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস:-

স্বাধীনতার জন্য যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। আমি একজন বাঙালি তাই বাংলা ভাষাকে ভালবাসি এই বাংলা ভাষার ইতিহাস জানার চেষ্টা করি।

আজ স্বাধীনতার কথা লিখছি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে,যাদের জন্ম স্বাধীনতার পরে তারা জানেনা স্বাধীনতা কাকে বলে?তাদের জন্য এই লেখা। পিতা মাতা এবং গুরুজনদের কাছে আপনারা অবসরে শুনবেন।স্বাধীনতা কাকে বলে ? ২৬ শে মার্চ কেন স্বাধীনতা দিবস?১৯৪৭ সালের আগস্টে প্রায় ২০০ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে বিদায় নেয় ব্রিটিশরা। কিন্তু ব্রিটিশদের এই সুদীর্ঘ শোষনের ইতিহাস ‘শেষ হইয়াও যেন হইলো না শেষ’। আর সেই স্বাধীনতা নাটকের শেষ সূচনা ঘটে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ- যার মাধ্যমে পশ্চিম পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ নামক নতুন এক ভূখণ্ড তৈরি হয়।

১৯৪৭ সালের আগে যারা জন্মগ্রহণ করেছে প্রায় সবাই জানে। কিন্তু স্বাধীনতা দিবসের কারণ বা এর পেছনের ইতিহাসটা আমাদের মধ্যে অনেকেই সঠিকভাবে জানে না। অথচ স্বাধীনতার এই সোনালী সূর্য ছিনিয়ে আনার জন্য জীবন দিয়েছেন লক্ষ লক্ষ শহীদ।আর এই ২৬শে মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু।পাকিস্তান নামক দুটি রাষ্ট্র। কিন্তু ভারতের পশ্চিমে অবস্থিত পশ্চিম পাকিস্তান ও পূর্ব দিকের ভূখণ্ড তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান-বর্তমান নাম বাংলাদেশ।

১৯৭১ সালে ৭ই মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের পর পরিস্থিতি হয়ে উঠেছে অগ্নিগর্ভ এমন পরিস্থিতিতে ঢাকায় এলেন সে সময়ের পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এবং ১৬ই মার্চ থেকে শুরু হল মুজিব ও ইয়াহিয়া বৈঠক। ২৪শে মার্চ আলোচনার সময় গড়িয়ে গেলেও সমাধান মিলল না।২৫শে মার্চ রাতে ঢাকায় শুরু হলো সামরিক অভিযান।

২৫শে মার্চ পাকিস্তানীরা আক্রমণ চালান তখন তৎকালীন আওয়ামী লীগের নেতা ড. কামাল হোসেন বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ২৫শে মার্চ সন্ধ্যায় তার বাসভবন, ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি থেকে টেলিফোনে সারা দেশে যুদ্ধের প্রস্তুতির নির্দেশনা দেন।”পঁচিশ তারিখ সন্ধ্যার দিকে সব জায়গায় রিপোর্ট পাওয়া শুরু হলো যে, সব ট্যাংক ক্যান্টনমেন্টে লাইন আপ করা হচ্ছে, আক্রমণ করার প্রস্তুতি সেখানে চলছে। আমরা এটা বঙ্গবন্ধুকে রিপোর্ট করলে বঙ্গবন্ধু তখন বললেন, হ্যাঁ এখন তো মনে হয় তারা অ্যাকশনে যাবে।শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধের প্রস্তুতির নির্দেশ দিলো।

“ইনস্ট্রাকশানের একটা ফর্মূলা ছিল, যে মুহূর্তে তারা আক্রমণ শুরু করবে। আঘাত হওয়ার সাথে সাথেই আমরা স্বাধীনভাবে যার যা কিছু ছিলো তা নিয়ে বাঙালিরা প্রতিবাদ প্রতিরোধে নেমে যায়।পাকিস্তানি বাহিনী ২৫শে মার্চ মধ্যরাতে শুরু করে “অপারেশন সার্চ লাইট” নামে পরিচালিত বাঙালিদের নিশ্চিহ্ন করার অভিযান।সেই রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আবাসিক হল জগন্নাথ হল এবং নীলক্ষেতে শিক্ষকদের একটি আবাসিক এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় ট্যাংকসহ ভারী অস্ত্র নিয়ে নিরস্ত্র মানুষের উপর চড়াও হয় পাকিস্তানি বাহিনী।তার অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই তা বেড়ে ভয়াবহ রূপ ধারণ করল।

বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতারের ঘটনার কয়েক ঘন্টা আগে রাত ন’টার দিকে শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে শেষ দেখা করে বিদায় নিয়েছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ, ড.কামাল হোসেন এবং আমীর-উল ইসলাম।”বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন,দেখ, আমার সারা জীবনে আমি ঘন ঘন অ্যারেস্ট হয়েছি। আমি জানি আমাকে ধরলে হয়ত তাদের আক্রমণের তীব্রতা অন্তত কিছুটা কমবে।

আর আমাকে যদি না পায়, তাহলে প্রতিশোধ নেবে তারা এলোপাথাড়ি আরও লোক মেরে ফেলবে তাই গ্রেপ্তারের কিছু আগেই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন। সেই রাতেই ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি থেকে পাকিস্তানি বাহিনী শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে। তাকে নিয়ে যায় পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে।শেখ মুজিবুর রহমান আটক হবার আগেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন।সেই ঘোষণাপত্র স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র তাদের সম্প্রচার করে ২৬শে মার্চ। কালুরঘাট বেতারেরই ছোট্ট একটি কেন্দ্রে তাদের প্রথম অনুষ্ঠান করেছিলেন।

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম সংগঠক বেলাল মোহম্মদ বিবিসি বাংলাকে বলেন ওই অনুষ্ঠানেই স্বাধীনতার ঘোষণা প্রথম সম্প্রচার করা হয়। শেখ মুজিবুর রহমানের নামে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন রাজনীতিকদের মধ্যে চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান।”স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার জন্য তিনি যখন এদিক ওদিক খোঁজ করছে, তার এক বন্ধু তাকে বললেন যে, একজন মেজর আছেন পটিয়াতে। তিনি সোয়াতের অস্ত্র নামাবার অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে দেড়শ সৈন্য নিয়ে হেডকোয়ার্টারের বাইরে আছেন পটিয়াতে। এ খবর শুনে ২৭শে মার্চ দিনের বেলায় তিনি পটিয়াতে চলে যায়।

বেলাল মোহম্মদের অনুরোধে বেতার কেন্দ্রের নিরাপত্তা রক্ষায় পটিয়া থেকে সৈন্য নিয়ে কালুরঘাটে যান জিয়াউর রহমান।”পটিয়া থেকে সবাই যখন কালুরঘাট পৌঁছলো, তখন প্রায় সন্ধ্যা হয় এবং এসেই আবার প্রোগ্রাম শুরু করা হল।এবং হঠাৎ, বেলাল মোহম্মদ বললেন আচ্ছা মেজর সাহেব, এখানে তো আমরা সব মাইনর। আপনি একমাত্র মেজর।আপনি কি নিজের কণ্ঠে কিছু বলবেন? উনি নড়েচড়ে উঠলেন। বললেন- হ্যাঁ সত্যি তো,কি বলা যায় বলুন তো? কাগজ বের করা হল, উনি কলম নিলেন। প্রত্যেকটি যে শব্দ তিনি উচ্চারণ করেছেন। বেলাল মোহম্মদ উচ্চারণ করেছে তারপরে লেখা হয়েছে।”বেলাল মোহম্মদ বলেন এভাবেই তৈরি হয়েছিল জিয়াউর রহমান কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে ২৭শে মার্চ রাত সাড়ে সাতটার অনুষ্ঠানে শেখ মুজিবের নামে যে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন তার এই বয়ান ইতিহাসে মিলে।১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে ঢাকার পরিস্থিতি ও শেখ মুজিবকে আটকের ঘটনা ২৭শে মার্চেই বিশ্বের অন্তত ২৫টি দেশের পত্রিকা বা সংবাদ সংস্থার খবরে প্রকাশিত হয়।

“বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা: ফ্যাক্টস অ্যান্ড উইটনেস (আ.ফ.ম সাঈদ)” বইতে স্বাধীনতার ঘোষণা সম্পর্কে বিদেশী সংবাদপত্র ও সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টের একটি সংকলন প্রকাশ করা হয়েছে। শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশকে স্বাধীন ঘোষণা করে তার বার্তা পাঠানোর মধ্যে দিয়ে শুরু হয় ২৫শে মার্চ অভিযানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ এবং নয় মাস ব্যাপী স্বাধীনতার লড়াই।

ওই সংকলন অনুযায়ী বিবিসির খবরে তখন বলা হয়, কলকাতা থেকে সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানের খবরে প্রকাশ যে পূর্ব পাকিস্তানের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান এক গুপ্ত বেতার থেকে জনসাধারণের কাছে প্রতিরোধের ডাক দিয়েছেন। ঢাকায় পাকিস্তানী বাহিনী আক্রমণ শুরু করেছে। মুজিবুর রহমান একটি বার্তা পাঠিয়েছেন এবং সারা বিশ্বের নিকট সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।

দিল্লির দ্য স্টেটসম্যান-এর খবর ছিল: “বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে।একটি গোপন বেতার থেকে প্রচারিত ভাষণে শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের পূর্বাংশকে স্বাধীন বাংলাদেশ হিসেবে নতুন নামকরণ করেছেন। আর্জেন্টিনার বুয়েনস আয়ারস হেরাল্ডের ২৭শে মার্চের সংখ্যার একটি খবরের শিরোনাম ছিলো, “বেঙ্গলি ইন্ডিপেন্ডেন্স ডিক্লেয়ার্ড বাই মুজিব। পাশেই লেখা হয় “স্বাধীনতা ঘোষণার পরই শেখ মুজিব আটক”।

আয়ারল্যান্ডের দ্য আইরিশ টাইমস-এর শিরোনাম ছিল-পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা ঘোষণা আর সাথে ছিল শেখ মুজিবের ছবি। ব্যাংকক পোস্ট-এর খবরে বলা হয়, “শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ নাম দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা ঘোষণার পর পাকিস্তানে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
কিন্তু হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালিকে জাতি হিসেবে আমরা মাত্র ৫৫ বছর ৪ মাস বাঁচতে দিয়েছি।

স্বাভাবিক মৃত্যু হলে শতায়ু তিনি হতেন না, তা কে বলতে পারে! যদি তিনি তাঁর অতি প্রিয় বাংলার মাটিতে ১০৪বছর বেঁচে থাকতেন তবে এই দিনটি জাতি তখন কীভাবে পালন করত, তা ভাবলে মনেপ্রাণে শিহরণ জাগে। সেই উপলব্ধি থেকেই হয়তো বাংলাদেশের বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার সে দেশের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রিয় নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন করে থাকেন।এই হলো পটভূমি। যে দেশটির জন্য তিনি আমৃত্যু সংগ্রাম করেছেন, যে দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের কথা নিয়েই যিনি জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত আত্মনিয়োজিত ছিলেন, তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ঘোষিত “মুজিব বর্ষ”টি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।

জয় বাংলা- এ শ্লোগান আমাদের স্বাধীনতার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাইতো গত ১০ ডিসেম্বর, ২০১৯ জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা দেন মহামান্য হাইকোর্ট। আর এই স্লোগান যার মুখে মুখরিত ছিলো সে আমাদের সকলের শ্রদ্ধেয় সংগ্রামী বাঙালীর প্রিয় নেতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যাঁর নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ তাই আমি জাতির পিতার আদর্শে পথ চলি। আমি একজন ছবি প্রেমী মানুষ। ছবি আঁকতে ভালোবাসি।

জন্মের পর থেকে ভালো মন্দ বোঝার থেকে ছবি আঁকাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছি। ছবি এঁকে ইতিহাস সম্পর্কে অনেক জানার চেষ্টা করছি। ইতিহাসের অধ্যায়ে খুঁজে খুঁজে একটি মানুষকে ছাড়া কারো জীবনকে নিয়ে গর্ব করার মতো পেলাম না। তাই তার আদর্শে জীবনের স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছি।আমার জীবনের সর্বোচ্চ দিয়ে আমি একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করলাম। খুলনা শহরে থাকি বিধায় এটির নামকরণ দেই খুলনা আর্ট একাডেমি।

২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত করার পর থেকে এ পর্যন্ত হাজার হাজার শিক্ষার্থী কে আমি শিক্ষা দিয়েছি। আমার শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২১৮ জন স্টুডেন্ট এই পর্যন্ত পড়াশোনা করার সুযোগ পেয়েছেন। বিশ্বভারতী এবং রবীন্দ্রভারতীতে স্কলারশিপ নিয়ে ১২জন পড়ার সুযোগ পায় ।এই জন্য খুলনা থেকে বিভিন্ন সংগঠনের উদ্দেশ্যে আমাকে সম্মাননা স্মারক দিয়েছেন।২০১৯ সালের ১৯ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু সাহিত্য একাডেমী এবং মেঠো বাংলা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থা মিলে আমাকে শিল্পী গড়ার কারিগর হিসেবে সম্মাননা স্মারক দিয়েছেন। এতে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।

আমি মনে করি ক্ষণস্থায়ী জীবনে এই দীর্ঘস্থায়ী সময়ে বেঁচে থাকার জন্য শিল্পচর্চা অন্যতম ভূমিকা রাখবে। তাই ছবি আঁকার পাশাপাশি আমি লেখালেখিকে জীবনের সাথে জড়িয়ে নিলাম ।এই পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কয়েকটি গান লিখেছি অসংখ্য কবিতা,একটি নাটক এবং বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী গত চার বছর ধরে খুলনার স্থানীয় পত্রিকা গুলো আমার লেখা প্রকাশিত হয় ।তাই লেখার প্রতি আরও আগ্রহ বেড়ে যায় ।আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে মানুষের কাছে চির অমর হয়ে বেঁচে থাকতে চাই।

আমি বঙ্গবন্ধুকে আমার হৃদয়েও স্থান দিয়েছি তার অসংখ্য ছবি এঁকেছি।এখনো প্রতিদিন ছবি আঁকতে বসলে তার ছবিটাই আগে আকি। এপর্যন্ত ৫০টি তার ছবি এঁকেছি ।তার ছবি এঁকে আমি শিল্পচর্চার জীবন খুঁজে পাই। আমার ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বিভিন্ন অজানা তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করি এবং তাদের ছবি আঁকার জন্য অনুপ্রেরণা যোগাই। যাতে শিক্ষার্থীরা নবীন শিল্পী হয়ে একজন ভালো মানুষের ছবি এঁকে তাদের জীবনের শুরুটা একজন ভালো আদর্শ মানুষের অঙ্কনে অমরত্ব লাভ করে এমনই প্রত্যাশা রাখি আমার সকল নবীন শিল্পীদের জন্য। তারা যেন একজন বড় চিত্রশিল্পী হয়ে বঙ্গবন্ধুর রূপবৈচিত্র গড়ে তুলতে পারে এই সোনার বাংলার রূপের মাঝে বঙ্গবন্ধুর জীবন ফুটিয়ে তুলতে পারে।

আমি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শে চলার চেষ্টা করব। প্রিয় পাঠক-পাঠিকাদের বলব আপনার সংসারে ছোট ছোট শিশুদের এই দেশের ইতিহাসের গল্প শোনাবেন। তাতে ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা জাতির পিতা সম্পর্কে জানতে পারবে এই মাতৃভাষার জন্য যারা জীবন দিয়েছে তাদের সম্পর্কে জানতে পারবে। কত রক্তের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। প্রিয় এই বাংলাদেশ ছয়টি ঋতু দিয়ে ঘেরা এত সুন্দর রূপবৈচিত্র নেই তো কোথাও আর। প্রিয় আমার জন্মভূমি মায়ের ভাষায় কথা বলি জন্মের পর থেকে।স্বাধীনতা দিবসে সমস্ত বাঙ্গালী ও দেশ প্রেমিক সবাইকে স্যালুট জানাই রেখে যাওয়া পরিবারের জন্য শুভকামনা।আমি ধন্য এমন দেশে জন্মগ্রহণ করে বঙ্গবন্ধুর মতো আদর্শ নেতার স্বাধীনতার সংগ্রাম লিখতে পেরে।

আজকের নলজুর/২৫মার্চ২৪/বিডিএন

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরণের আরো খবর
© All rights reserved © 2023 আজকের নলজুর
Design and developed By: Syl Service BD