মনজু বিজয় চৌধুরী, স্টাফ রিপোর্টার:-
কৃষি করে কি করবো, এর থেকে ভালো সরকার আমাদের বিষ খাইয়ে মেরে ফেলুক। আমাদের জন্য কেউ নাই, আমাদের হয়ে কেউ একটা কথাও বলে না আজকে আমাদের কিছু নাই বলে।
বিসিক শিল্প নগরীতে ড্রেনের ময়লা পানিতে ডুবে আছে কৃষকদের ফসল জমি। এই ময়লা পানির জন্য কৃষকদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। পানির কারণে ফসলি জমি মৃত জমিতে পরিণত হয়েছে বলে জানান স্থানীয় কৃষকরা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় মৌলভীবাজার সদর উপজেলা বিসিক শিল্পনগরীর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে গড়ে উঠা শিল্প প্রতিষ্ঠানের অপরিকল্পিত বর্জ নিস্কাশনে এলাকার ফসলি জমিসহ গবাদিপশুর মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এই বিসিকের ড্রেনের মূয়লার সম্পূর্ণ দায়িত্ব হলো অফিসের।
এগুলা তারা পরিষ্কার করে না, আমরা নিজেরাই পরিষ্কার করি। মানুষের শরীরে দেখা দিচ্ছে চর্মরোগ। এই বিষাক্ত বজের কারণে আশাপাশের প্রায় ৫শত বিঘা ধানী জমিতে দীর্ঘদিন ধরে ফসল হচ্ছে না এবং জমি অনাবাদি পড়ে আছে। ফলে কারখানার বর্জ্য ও রাসায়নিকমিশ্রিত পানি খাল-নর্দমা দিয়ে কাছের খাঞ্জার হাওরে নির্গত হচ্ছে। এ কারণে এই হাওরে কমেছে ফসল উৎপাদন।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার গিয়াসনগর ইউনিয়নের ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক গুমরা মৌজার ১৫ একর ভূমি অধিগ্রহণ করে ১৯৮৭ সালে গড়ে ওঠে বিসিক শিল্পনগরী। এ শিল্পনগরীর ১০১টি প্লটে ৬১টি ইউনিট বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে বরাদ্দ নিয়েছে।
বিসিক শিল্পনগরীতে গড়ে উঠা বিস্কুট ফ্যাক্টরী, রাবার, টাইলস, ব্যাটারী, ঔষধ, কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রির বর্জ অপরিকল্পিত ভাবে পড়ছে পার্শ্ববর্তী কাইঞ্জার হাওরে। চারদিকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। বিসিক কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন-নিবেদন করেও কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় কৃষিজীবী পরিবারের সদস্যদের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
স্থানীয় কুষক মুজাহিত মিয়া বলেন এই বিসিকের ড্রেনের ময়লা পানি দ্রুত নিষ্কাশনের জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছেন।
আরো একজন কৃষক সেতু মিয়া বলেন গরিব মানুষের কথা কেউ শুনে না, বড়লোকের কথা সবাই শুনে,এই দেশে থেকে কি করব,মরে গেলে ভালো হবে। উৎপাদন খরচ না আসায় কেউ ফসল ফলাতে চায় না।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) মৌলভীবাজার জেলার সমন্বয়ক আসম সালেহ সুহেল বলেন, এখানকার কারখানাগুলোর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় স্থানীয় পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। বিসিক কর্তৃপক্ষ এবং কারখানা মালিকরা অন্যের ক্ষতি করতে পারেন না।
মৌলভীবাজার বিসিক শিল্পনগরীর উপব্যবস্থাপক মোঃ বিল্লাল হোসেন ভুইয়া কালবেলাকে বলেন বিসিক শিল্প নগরীতে যে প্রতিষ্ঠান গুলো আছে, দূষিত ময়লা পানি যাবে না,তবে এটা স্থায়ীভাবে সমাধান হবে।
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সামসুদ্দিন আহমদ কালবেলাকে বলেন ধানগুলো জ্বলে যাচ্ছে কারণ এখান থেকে বিষাক্ত ক্যামিকেল বের হচ্ছে যেমন লিড জাতীয় বা ক্রমিয়াম জাতীয় যে জাতীয়ই হোক বিষাক্ত বের হচ্ছে তার দরূন মাটিটাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
আজকের নলজুর/০৫মার্চ২৪/বিডিএন