মোঃ মুকিম উদ্দিন জগন্নাথপুর(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধি:-
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে হঠাৎ কালবৈশাখীর সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। আকাশ থেকে পড়া বড় বড় শিলাখণ্ডের আঘাতে গ্রামের অনেক ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। যানবাহনেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রায় ১৫ মিনিট ধরে এই ঝড় হয়।
জগন্নাথপুরের তেলিকোনা গ্রামের আব্দুল আজাদ বলেন, তার এ বয়সের মধ্যে এত বড় শিলা দেখেননি। শিলাবৃষ্টির কারনে তার ঘরের টিনের চালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জগদীশপুর গ্রামের একাধিক লোকজন বলেন, রাতে তারা স্থানীয় বাজারে কেনাকাটা করতে একটি দোকানে গিয়েছিলেন দোকানের টিনের চালা চিদ্র অবস্থায় পেয়েছেন।
বৃষ্টির আগে সাংবাদিক মোঃ মুকিম উদ্দিন এর বাড়িতে আসা এক ব্যক্তি তার ব্যবহৃত মোটর সাইকেল ঘরের সামনে খালি জায়গায় রেখেছিলেন। বৃষ্টির পর তিনি তাঁর মোটরসাইকেলের ট্যাংকি চ্যাপ্টা এবং আয়না ভাঙ্গা অবস্থায় পেয়েছেন।আবহাওয়া অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, চৈত্রের শেষ ও বৈশাখের শুরুতে দক্ষিণ-পশ্চিমা মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে কালবৈশাখী হয়।
এ সময় বৃষ্টির ফোঁটাগুলো পড়ার সময় প্রায়ই মাঝপথে বাতাসের ঊর্ধ্বমুখী চাপের মধ্যে পড়ে। ফলে বৃষ্টির ফোঁটাগুলো নিচে নামতে নামতে তার কিছু অংশ আবার ওপরে উঠতে শুরু করে এবং আরও ঠান্ডা হতে থাকে। ঘনীভূত পানির ফোঁটাগুলো আরও ভারী হয়ে আবার নিচে নামতে থাকে এবং আবার গরম বাতাসের ঊর্ধ্বমুখী চাপে পড়ে তার কিছু অংশ আবার ওপরে উঠতে থাকে। কয়েকবার ওঠানামা করতে করতে পানির ফোঁটাগুলোর কিছু অংশ ছোট ছোট বরফখণ্ডে পরিণত হয়। এগুলো বেশি ভারী বলে আর ওপরে উঠতে পারে না। বৃষ্টির ধারার সঙ্গে নিচে নেমে আসে। এটাই শিলাবৃষ্টি। শিলাবৃষ্টির প্রধান শর্ত প্রচণ্ড গরম। চৈত্র-বৈশাখ মাসে এ রকম গরম পড়ে। ফলে কালবৈশাখীর সময় শিলাবৃষ্টি হয়।
আজকের নলজুর/০১এপ্রিল২৪/বিডিএন