মোঃ এনামুল হক বিপ্লব, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ-
প্রখর রোদ,প্রচণ্ড গরমে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামে জনজীবন আর প্রাণীকুল। প্রখর রোদ্রের তাপে অসহনীয় হয়ে পড়েছে জনজীবন।ঠান্ডা বা মেঘ বৃষ্টিরও কোন আভাস নেই। গরমের ভোগান্তিতে পড়েছে প্রায় সকল শ্রেণী পেশার মানুষ। বিশেষ করে যারা পথে ঘাটে, মাঠে কৃষিকাজ আর পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করছে,তারা এই রোদের তাপে কাহিল হয়ে পড়েছে। এদিকে রাস্তাঘাটে পথচারীদের মাঝে কেউ কেউ বের হয়েছেন ছাতা নিয়ে।গরমে রাস্তায় সকল প্রকার যানবাহনে যাত্রীদের চলাচল যেন বিরক্তিকর হয়ে পড়েছে।বয়:বৃদ্ধ / শিশুদের জীবনে চলছে নাভিশ্বাস।
নিম্ন আয়ের রিক্সা চালক, শ্রমজীবী-কর্মজীবী মানুষগুলোর ত্রাহি ত্রাহি ভাব,যেন জীবন বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে।
কয়েকজন কৃষক,দিনমজুর বলেন,এই তীব্র রোদ ও গরমে কৃষি কাজে মাঠে কাজ করা যে কষ্ট হচ্ছে তা সহ্য করার মত না। তারপরও পরিবারের মুখে আহার জোগাতে জীবন-জীবিকার তাগিদে ঘাম ঝরিয়ে ছুটছি। এর মধ্যে আবার মাঝে মধ্যে চলছে বিদ্যুতের লোড শোডিং। বিদ্যুতের চলে গেলে শিশু,বৃদ্ধ আর অসুস্থ্যদের শুরু হয় শোচনীয় অবস্থা। এমন প্রচণ্ড রোদ গরমে অনেকে আক্রান্ত হচ্ছে নানান রোগে।
নাজিম খানে রিকশাচালক আকবর আলী (৫৭) বলেন,একেতো বয়সের ভার,তার উপর আবার প্রচন্ড গরমে রিকশা চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু কিছু তো করার নাই। নইলে তো বাড়িতে চুলা জ্বলবে না। নাজিম খান আঞ্চলিক পাকা রাস্তার অটো চালক আরিফুল, রাজু,জাহাঙ্গীর,আতিকসহ বেশ কয়েকজন জানায়,প্রচণ্ড রোদের কারনে রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বের হওয়াই যাচ্ছে না। যাত্রী খুবই কম,ইনকামও আমাদের তেমন নাই। গরম যেন কমছেই না। রাজারহাট টু নাজিম খান রোড়ে অগ্ৰনী ব্যাংকের সামনে গোল চত্বরে কয়েকজন পথচারী বলেন,বেশ কয়েকদিন ধরে সবচেয়ে বেশি রোদ ও তাপদাহ শুরু হয়েছে। এতে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ ছাড়াও সবাইকে কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে।
আজকের নলজুর/২০এপ্রিল২৪/বিডিএন
সম্পাদকঃ জুবায়ের আহমদ হামজা, বার্তা সম্পাদকঃ বিপ্লব দেবনাথ। অফিস: ব্যারিস্টার মির্জা আব্দুল মতিন মার্কেটে, জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ।
Email:- ajkernaljur@gmail.com Mob:- 01880597469