মোঃ মুকিম উদ্দিন, জগন্নাথপুর প্রতিনিধি:-
সারা দেশে যখন চালের দাম বেড়ে যায় বলা হয় ‘বেশি করে আলু খান, ভাতের ওপর চাপ কমান’। আলুর দাম মোটা চালের দামকে ছাড়িয়ে গেছে অনেক আগেই। সম্প্রতি চিকন চালের দামকেও ছাড়িয়ে গেল।
অন্যদিকে বাজারে নতুন আলুর কেজি পড়ছে ৫০ টাকা। এখন আলুর ওপর চাপ কমাতে কী খেতে বলা হবে? সস্তা খাদ্য হিসেবে বিবেচিত আলুও কি তাহলে দরিদ্র মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেল।
আলুর বাজার এপ্রিল মাস থেকেই নিয়ন্ত্রণহীন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আলুর দাম বেঁধে দিলেও তাতে কোনো কাজ হয়নি। সরকার যদি আলুর উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নিত, যদি কৃষকের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্যে আলু কিনে হিমাগারে সংরক্ষণ করে সংকটের সময় ন্যায্যমূল্যে বিক্রির ব্যবস্থা করত, তাহলে আজ আলুর দাম নিয়ে এই অরাজকতা চলতে পারতনা।
আসলে কৃষকের হাতে আলু থাকে মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত। এ সময় আলুর দাম সাধারণত বাড়ে না। আলুর দাম বাড়তে শুরু করে কৃষকের হাত থেকে আলু যখন ব্যবসায়ীদের হাতে যায়, তখন থেকে, অর্থাৎ জুলাই মাস থেকে। মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত কৃষকের কাছ থেকে ব্যবসায়ীরা যে আলু ১০-১২ টাকা কেজিতে ক্রয় করেন, সেই আলুই কিছুদিন হিমাগারে রাখার পর বহুগুণ বেশি দামে বিক্রি করেন।
৫০ কেজির এক বস্তা আলু হিমাগারে রাখার খরচ ৩০০ টাকা, বস্তার দাম ৫৫ টাকা। অর্থাৎ, হিমাগারে রাখার জন্য কেজিপ্রতি খরচ ৭ টাকা ১০ পয়সা। এর সঙ্গে শ্রমিক ও পরিবহন খরচ কেজিপ্রতি ২ টাকা ধরলে ব্যবসায়ীদের খরচ পড়ে সব মিলিয়ে প্রতি কেজিতে ২০ টাকা। এর ফলে পাইকারি পর্যায়ে এই আলু ২২ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হওয়া উচিত। কিন্তু জুনের পর আলু যখন কৃষকের হাতে থাকে না, তখন ব্যবসায়ীরা সুযোগ বুঝে চাহিদার তুলনায় কম করে আলু বাজারে ছেড়ে আলুর সংকট তৈরি করেন এবং অনেক বেশি দামে বিক্রি করেন।
অবশ্য দেশে আলুর দাম নিয়ে এ ধরনের কারসাজি নতুন নয়। ২০২০ সালেও আমরা আলুর দাম নিয়ে ব্যাপক কারসাজি হতে দেখেছি। আলুর দাম ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে বাড়তে শুরু করে এবং খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলুর দাম তখন ৫০ টাকায় পৌঁছায়।
আজকের নলজুর/২৩এপ্রিল২৪/বিডিএন
সম্পাদকঃ জুবায়ের আহমদ হামজা, বার্তা সম্পাদকঃ বিপ্লব দেবনাথ। অফিস: ব্যারিস্টার মির্জা আব্দুল মতিন মার্কেটে, জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ।
Email:- ajkernaljur@gmail.com Mob:- 01880597469