স্মৃতির আয়না

মির্জা জুয়েল আমিন, লন্ডন থেকেঃ-

যোগ্যতার মাপকাঠি মানুষের কর্মের মধ্যেই পাওয়া যায়। আমাদের ইকডছই গ্রামের কৃতি সন্তান। সাবেক সফল মেয়র জনপ্রিয় ফুটবলার দক্ষ কর্মঠ সৎ সাহসী রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক সামাজিক অঙ্গনের পরিচিত মুখ যাকে এক নামে সবাই চেনে। বারবার নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জগন্নাথপুর পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান জনাব হারুনুর রশিদ ভূঁইয়া হিরন মিয়া সাহেবের সুযোগ্য সন্তান। সবার প্রিয় মিজানুর রশিদ ভূঁইয়া।

সামাজিক ও রাজনৈতিক সংস্কৃতিক অঙ্গনে যার সরব পদচারণা জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। আমার দেখা ইকডছই মাঠ বর্তমান হারুনুর রশিদ হিরন মিয়া স্টেডিয়ামে আমরা যখন ফুটবল খেলতাম সিনিয়র ফুটবলারদের মধ্যে যে কয়জন ভাল খেলা প্রদর্শন করতেন তার মধ্যে মিজানুর রশিদ অন্যতম। ভালো খেলোয়ারদের মধ্যে মন্নান ভাই, শিশু ভাই, সালাউদ্দিন ভুঁইয়া, আব্দুল আলী ভাই, জামাল উদ্দিন ভূঁইয়া, আশিকুল হক, রায়হান ভূঁইয়া, আব্দুল জব্বার তালুকদার, নুর মিয়া, রাজু মিয়া,শাহীন ভূঁইয়া সহ আরো অনেকে।

আমাদের সমবয়সীদের মধ্যে জামাল হোসেন, বজলুর রশিদ ভুইয়া, মাহবুবুর রহমান, রেজা দিনুল ইসলাম, নুর ইসলাম, খুরশেদ, দুদু মিয়া,জসিম মুক্তি, ছেরাগ আলী, আজাদ আলী, গিয়াস উদ্দিন, মইনুদ্দিন, মতিন আতাউর রহমান মামুনুর রশিদ ভূঁইয়া ও আরো অনেকে এই মুহূর্তে সবার নাম মনে পড়ছে না। রাজনৈতিক ভিন্নমত থাকলেও খেলাধুলায় কোন সমস্যা হতো না। আমাকে মিজান ভাই শিশু ভাই আব্দুল আলী ভাই রায়হান ভাই সালাউদ্দিন ভূঁইয়া সবাই খুব আদর করতেন। বজলুর রশিদ ভূঁইয়া এবং জব্বার ভাই ভালো গোলকিপার ছিলেন।

এর সমবয়সীদের মধ্যে মাহবুব এবং জামাল খুব ভালো খেলত। হামজা ভাইদের খেলার বাসায় মিজান ভাই শিশু ভাইরা খেপে চাইতেন। আমরা যাকে হায়ারী প্লেয়ার বলে থাকি। অনেক স্মৃতি এই মাঠ এই মানুষজনদের নিয়ে। আমরা সাধারণত স্মৃতিচারণ বা মানুষের প্রশংসা করতে কৃপণতা বোধ করি। বাস্তবতা হল আপনি কাউকে সম্মান দিলে তা ফেরত পাবেন।

কে কোন ক্ষেত্রে কতটুকু যোগ্যতা রাখে তা জনগণ দেখবে। যোগ্যতা আছে বিদায় মিজান ভাই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। সবাই সব ক্ষেত্রে সফল হতে পারেনা। তাদের কথা স্মৃতিচারণ করলাম এরা সবাই মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন ক্ষেত্রে। আমি সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনে কোন কাজে হাত দিলে উনাদের সাহায্য সহযোগিতা সব সময় পাই।

আমি সবার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি। বন্ধু মাহবুব ও বজলু কে যেন আল্লাহ বেহেস্ত নসিব করেন আমিন।

সহ-সম্পাদক: মির্জা জুয়েল আমিন, আজকের নলজুর পত্রিকা। 

আজকের নলজুর/০৩মে২৪/বিডিএন