1. admin@ajkernaljur.com : admin :
শাল্লায় এক শিক্ষকের দাদন ব্যবসার ফাঁদে আরেক শিক্ষক - আজকের নলজুর
২৭শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১৩ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| বর্ষাকাল| শুক্রবার| রাত ৩:৩১|

শাল্লায় এক শিক্ষকের দাদন ব্যবসার ফাঁদে আরেক শিক্ষক

রিপোর্টার
  • আপডেটের সময় : বুধবার, মে ২২, ২০২৪,
  • 423 দেখা হয়েছে

শাল্লা(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধি:-

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় সুদের রমরমা ব্যবসা। অধিক মুনাফার লোভে দীর্ঘদিন ধরে একটি সিন্ডিকেট চক্র উপজেলায় সুদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আর এসব দাদন ব্যবসায়ীদের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হচ্ছে গরীব অসহায় লোকেরা।

সুদের ব্যবসার এই সিন্ডিকেট চক্রের সাথে জড়িত আছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকও। শিক্ষকতার আড়ালে সুদের ব্যবসা চালাচ্ছে দেদারসে। এবার শিক্ষকের দাদন ব্যবসার ফাঁদে পড়েছেন আরেকজন শিক্ষক। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে গত ২ মে উজান যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েল প্রধান শিক্ষক অজিত বরণ তালুকদারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন আছানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইন্দু ভুষণ দাস।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারী ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ২০২১ সালের ০২ জুলাই ৬৫ হাজার ৫শ টাকা ঋণ নেন তিনি। আর এসব টাকার সুদসহ ২০২৪ সালের ১৯ এপ্রিল ৮লাখ ৯ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। এরপরও দাদন ব্যবসায়ী শিক্ষক অজিত বরণ দাস ওই ভুক্তভোগীর কাছে আরো ৫ লাখ ২৬ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন এবং মামলা করার ভয়ভীতি দেখান।টাকা দেওয়ার সময় অজিত তালুকদার ইন্দুভুষণ দাসের কাছ থেকে স্বাক্ষরিত ফাঁকা চেকসহ স্ট্যাম্প করে রাখেন। আর এসবের ভয়ভীতি দেখিয়ে আরো টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চাপ প্রয়োগ করছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

ফলে ওই দাদন ব্যবসায়ী শিক্ষকের রোষানলে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক ইন্দুভুষণ দাস।

ভুক্তভোগী ইন্দুভুষন দাস বলেন, শিক্ষক অজিত বরণ তারূকদারের কাছ থেকে দুই দফায় ৫ লাখ ১৫ হাজার ৫শ টাকা সুদের উপরে নেই। আর এসব টাকা নেওয়ার সময় সে স্বাক্ষরিত ফাঁকা চেকবই নিয়ে নেন। বিনিময়ে প্রতি মাসে চেকের অনুকূলে সুদের ১৪ হাজার ৫শ ২৫টাকা প্রতিমাসে দেয়া হত। আবার কোনো কোনো মাস দেয়া না হলে উনি ব্যাংক থেকে চেকের মাধ্যমে তুলে নিতেন। সুদসহ অজিত তালুকদারকে মোট ৮লাখ ৯ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এরপরও আরো ৫ লাখ ২৬ হাজার টাকা দাবী করছেন তিনি। আর না হয় অন্যথায় তারপর আমার বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির মামলা করবে বলে হুমকি দিচ্ছে। তাই আমি ও আমার পরিবারকে দাদন ব্যবসায়ীর হাত থেকে বাঁচাতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি।

অভিযুক্ত শিক্ষক অজিত বরণ তালুকদার এপ্রতিবেদককে জানান, ইন্দুভুষণ দান উনার কাছ থেকে ধার করে টাকা নিয়েছেন। সুদের উপরে কোনো টাকা দেননি। আর উনি দাদন ব্যবসার সাথে জড়িত নন বলে জানান।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, একজন শিক্ষক দাদন ব্যবসার সাথে কোনো ভাবেই জড়িত থাকতে পারে না। এটা আইন বর্হিভুত। আমার কাছে একটি অভিযোগ এসেছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) মো. আলাউদ্দিন নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আজকের নলজুর/২২মে২৪/বিডিএন

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরণের আরো খবর
© All rights reserved © 2023 আজকের নলজুর
Design and developed By: Syl Service BD