মির্জা জুয়েল আমিন (লন্ডন থেকে):-

প্রতিটা আঘাত থেকে জন্মায় অভিজ্ঞতা, আর ব্যর্থতা থেকে জন্মায় সফলতা, সেরকমই একজন মানুষ দক্ষ কর্মঠ সৎ সাহসী, অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে আজকের সফল ব্যবসায়ী। জগন্নাথপুর উপজেলায় স-মহিমায় প্রতিষ্ঠিত যে কয়জন মানুষ তাদের মধ্যে অন্যতম। পরেজগার সাদা মনের মানুষ সৎকর্মে ও সাদামাটা জীবন যাপনে অভ্যস্ত। নীর অহংকার, কথা কম বলেন শুনেন বেশি, কথা কম বলার কারণে অনেকেই অহংকারী ভাবে আসলে তার বিপরীত ধর্মী উনি ভেতরটা মোমের মত নরম, একসাথে পথ চলেছি তিন যুগেরও বেশি সময় কখনো আমাদের মধ্যে সামান্যতম কথা কাটাকাটি অথবা ভুল বোঝাবুঝি হয়নি।

দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা চাচাত বড় ভাই যার সাথে আত্মার সম্পর্ক। আমি দেশে গেলে একসাথে গল্প গুজব করে কখন যে টাইম চলে যায় বুঝাই যায় না। আজ অব্দি আমি যখনই কোন কাজের জন্য ফোন দেই উনার মুখ থেকে না শব্দটা শুনিনি। বড় ভাইদের দায়িত্ব মনে হয় একটু বেশি থাকে। উনার বাবাও ছিলেন চৌকস উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত।

আমার জানামতে জগন্নাথপুর থানার প্রথম ব্যারিস্টার, জগন্নাথপুর থানায় স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলনকারী। বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা পরিবারের রত্নগর্ভা সন্তান মরহুম ব্যারিস্টার আব্দুল মতিন সাহেব। দেশ স্বাধীনের আগে এবং পরেও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, উনারি সুযোগ্য উত্তরসূরী।

বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী বিশ্বাসী, ৯০এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের ছাত্রনেতা জগন্নাথপুর থানা ছাত্রদলের সাবেক সংগ্রামী সভাপতি, সাবেক মির্জা বাড়ি ডায়মন্ড ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি, জালালাবাদ বিপ্লবী পরিষদ জগন্নাথপুর উপজেলা শাখার অন্যতম উপদেষ্টা, আজকের নলজুর পত্রিকার সম্পাদনা পরিষদের সহ-সভাপতি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, একজন ভদ্র এবং ভালো মানুষ হিসেবে যার সুনাম রয়েছে, আমাদের সবার প্রিয় আলহাজ্ব মির্জা আবুল কাশেম স্বপন ভাইয়ের কথা।

আমাদের ভাইদের মধ্যে অনেক স্মৃতি অনেক কথা লিখে শেষ করা যাবে না। আমি প্রবাসে উনি দেশে আমাদের সম্পর্কটা এখনো অটুট রয়েছে। মরহুম ব্যারিস্টার আব্দুল মতিন সাহেবের ছোট ছেলে বাবার নাম উজ্জ্বল করেছে, মির্জা আবু তাহের মোহন সে বর্তমানে সুনামগঞ্জ জেলা জজ আদালতে আইনজীবী হিসেবে কর্মরত।

এখনো স্বপন ভাইয়ের সাথে রাজনৈতিক সামাজিক কোন বিষয় হলে উনার পরামর্শ নিয়ে থাকি। আমি উনার সুন্দর এবং সুস্থ্য জীবন কামনা করি। আল্লাহ তাআলা ওনাকে নেক হায়াত দান করেন,,,আমিন।

সহ-সম্পাদক: মির্জা জুয়েল আমিন, আজকের নলজুর পত্রিকা।

আজকের নলজুর/২২জুন২৪/বিডিএন