হুমায়ুন ফরিদ,দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ-
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের মহব্বতপুর কমিউনিটি ক্লিনিক বেশিরভাগ সময় বন্ধ থাকায় মিলছে না স্বাস্থ্যসেবা। তাই চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত, মহব্বতপুর, মোহাম্মদপুর, শিমুলতলা মারপশী, কাওয়ারঘর, রাজনগর, বরকতনগর,গোজাউারা খাগুর,জিয়াপুরসহ প্রায় ১৫টি গ্রামের হাজারও সেবা গ্রহীতাদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে মঙ্গল দুপুর ১২ টায় গিয়ে দেখা যায়, মহব্বতপুর কমিউনিটি ক্লিনিক ভবনের মূল ফটকে ঝুলছে তালা। ক্লিনিক সপ্তাহে ৫ দিন খোলা থাকার কথা থাকলেও! দুইদিনও খোলা থাকেনা। সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকার কথা থাকলেও দুপুর ১টা বাজতে না বাজতেই বন্ধের তোড়জোড় শুরু করেন চিকিৎসকরা।
স্হায়ীরা জানান, মাত্র বন্যার পানি কমতেছে। যত সময় যাচ্ছে মানুষ, সর্দি, জর, ডায়েরিয়া, আমাশাসহ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। অসুস্হ হয়ে ক্লিনিকে এসে দেখেন ডাক্তার নাই, তখন তারা পড়েন নানান ভোগান্তিতে। সপ্তায় ২ থেকে ৩ দিন পর একজন চিকিৎসক আসেন অফিস খোলেন। ঘণ্টা তিনেক থেকে আবার চলে যান। তাই এ ক্লিনিকের প্রতি মানুষের দিনদিন আস্থা হারাচ্ছে।
স্থানীয়রা আরও জানান, এসব ক্লিনিক মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে মা ও শিশু, প্রজনন স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা সেবা, টিকাদান কর্মসূচি, পুষ্টি, স্বাস্থ্যশিক্ষা, পরামর্শসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করার কথা রয়েছে।কিন্তুু এ কমিউনিটি ক্লিনিকে নেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসক। তাই বিভিন্ন গ্রাম থেকে রোগীরা এসে চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। তাই এলাকা জুড়ে বইছে আলোচনা ঝড়।
মহব্বতপুর কমিউনিটি ক্লিনিক’র সভাপতি হাছেন আলী দুখু মেম্বার’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
মহব্বতপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি রফিকুল হাসান বলেন, আমি ট্রেনিংগে আছি এর জন্য ক্লিনিক যেতে পারছি না। ট্রেনিংগে থাকলেতো ক্লিনিক বন্ধ থাকবেই।
দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবু সালেহীন খান বলেন, আজ থেকে সে ট্রেনিংগে চলে যাবে। গত তিন থেকে চার দিন ক্লিনিক কেন বন্ধ ছিলো তাকে আমি জিজ্ঞেস করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।
আজকের নলজুর/২৬জুন২৪/বিডিএন