1. admin@ajkernaljur.com : admin :
দোয়ারাবাজার খাসিয়ামারা নদী ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে জনবসতি ও স্থাপনা - আজকের নলজুর
২৭শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১৩ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| বর্ষাকাল| শুক্রবার| ভোর ৫:২৯|

দোয়ারাবাজার খাসিয়ামারা নদী ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে জনবসতি ও স্থাপনা

রিপোর্টার
  • আপডেটের সময় : শনিবার, জুন ১৫, ২০২৪,
  • 109 দেখা হয়েছে

দোয়ারাবাজার(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধি:-

দোয়ারাবাজারে টানাবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল ক্রমশ প্লাবিত হওয়ায় বন্যার আশংকা করা হচ্ছে। গত তিনদিন ধরে টানা বর্ষণ ও মেঘালয় থেকে নেমে আসা ঢলে উপজেলার সুরমা, চেলা, চলতি, মরা চেলা, খাসিয়ামারা,মৌলা, কালিউরি, ধূমখালিসহ উপজেলার সকল নদী-নালা হাওর ও খাল-বিলের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সীমান্তের ওপার থেকে বয়ে আসা খাসিয়ামারা নদীর উপচে পরা স্রোতে লক্ষীপুর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া, ইদ্রিসপুর, চৌকিরঘাট বেঁড়িবাধ ভেঙে বিভিন্ন হাওরে পানি প্রবেশ করায় ঘরবাড়ির আসবাবপত্র, গবাদিপশুর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আমনের বীজতলা, আউশ ও সবজি ক্ষেত তলিয়ে গেছে। বোগলাবাজার ইউনিয়নের ক্যাম্পের গাঁট নামক স্থানে চিলাই নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে ১০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

সুরমা ইউনিয়নের টিলাগাও-টেংরাটিলা যাতায়াত রাস্তা বেরীবাধ ভেঙে গেছে, মহব্বতপুর বাজার-লিয়াকতগঞ্জ বাজার সড়কেনোয়াপাড়া নামকস্থানে বেরীবাধ ভেঙে উপজেলা সদরের সাথে লক্ষিপুর ইউনিয়নের ২৮টি ও সুরমা ইউনিয়নের ৫টি গ্রামসহ সীমান্তের লক্ষাধিক মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে। বাংলাবাজার ইউনিয়নের পেকপাড়া, চৌধুরী পাড়া, মৌলারপাড়, চিলাইপাড়, পুরান বাশতলা গ্রামের অনেক ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে ক্ষয়ক্ষতির হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

লক্ষিপুর ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম বলেন, খাশিয়ামারা নদীর উপচে পরা স্রুতে আমার ইউনিয়নে নোয়াপাড়া, ইদ্রিসপুর ও চৌকির গাঁট নামক স্থানে তিন ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে, প্লাবিত হচ্ছে বেশ কিছু গ্রাম। শুকনো খাবার ও নিরাপদ পানি জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে অবগত করেছি।

সুরমা ইউপির চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ বলেন, খাশিয়ামারা নদীর উপচে পরা শ্রুতে সুরমা ইউনিয়নের কিছু সংখ্যক বাড়ি ঘরে পানি উঠেছে,তাদের জন্য শুকনো খাবার ও নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করা হবে।

বোগলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মিলন খান জানান, ক্যাম্পেরঘাট গ্রামের সাবেক বিজিবি ক্যাম্পের পাশে চিলাই নদীর বেরীবাধ ভেঙে বোগলাবাজার ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে, পুকুরের মাছ ও বাড়ী ঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।

আজকের নলজুর/১৫জুন২৪/বিডিএন

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরণের আরো খবর
© All rights reserved © 2023 আজকের নলজুর
Design and developed By: Syl Service BD