চাঁদপুর থেকে:-
চাঁদপুরের সেচ প্রকল্পভুক্ত এলাকায় সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার ও বুধবার দিনব্যাপী টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সেচ প্রকল্পের ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকা থেকে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে এ জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। জলাবদ্ধতার ফলে মাছের ঘের, প্রধান সড়কগুলো, বসতবাড়ি, কৃষি আবাদ, পোল্টি খামার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পানিতে ডুবে গেছে। গাছপালা ভেঙে লাখো মানুষের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
টানা বৃষ্টিতে জনজীবন দুর্বিসহ'র পাশাপাশি বিপাকে পড়েছে নিন্মআয়ের মানুষ, মৎস্য চাষীরা। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু মাছের ঘের পানিতে ভেসে গেছে। বড় বড় মৎস্য চাষীরা মাছের ঘেরগুলো জাল দিয়ে মাছ ধরে রাখার চেষ্টা করছে।
পৌর এলাকার কেরোয়ার মৎস্যচাষী জাকির হোসেন, চরবসন্তের নাজিম উদ্দিন, গোবিন্দপুর (দ:) ইউনিয়নের সোহেল বেপারী, পাইকপাড়া (দ:) ইউনিয়নের সাইফুল ইসলাম সহ বেশ কয়েকজন জানান, তারা লক্ষ লক্ষ টাকা মাছ চাষে পুজি বিনিয়োগ করেছেন। সেচ প্রকল্প কর্তৃপক্ষ দ্রুত স্লুইজগেইট দিয়ে পানি না সরালে মাছের ঘের ভেসে যাবে। সিএনজি চালক মজিবুর রহমান বলেন, গত দু'দিনের বৃষ্টিতে বাসা থেকে বের হতে পারিনি। মঙ্গলবার বিকেলে একবার বের হয়েছিলাম, সড়কে যাত্রী নেই। পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে আছি।
পৌরসভার নিউ আইডিয়াল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ পরিচালক সাখাওয়াত হোসেন মিন্টু বলেন, স্কুলে পানি প্রবেশ করেছে। পৌর এলাকার পানি নিস্কাসনের ব্যবস্থা না থাকায় পানি নামছে না। তাই ক্লাস কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ব্যবসায়ী মানিক হোসেন বলেন, আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গোডাউনে পানিতে ডুবে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়েছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মর্কতা বেলায়েত হোসেন জানান, আমরা প্রতিনিয়ত মৎস্যচাষীদের সাথে যোগাযোগ রেখে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছি। সেচপ্রকল্প কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি, যাতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা যায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌলি মন্ডল বলেন, চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীলদের সাথে কথা হয়েছে। আশা করি দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আজকের নলজুর/ বিডি প্রতিদিন
সম্পাদকঃ জুবায়ের আহমদ হামজা, বার্তা সম্পাদকঃ বিপ্লব দেবনাথ। অফিস: ব্যারিস্টার মির্জা আব্দুল মতিন মার্কেটে, জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ।
Email:- ajkernaljur@gmail.com Mob:- 01880597469