মোঃ মুকিম উদ্দিন জগন্নাথপুর প্রতিনিধি:-
কোনোভাবেই থামছে না পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং। প্রতিদিন বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ছে অথচ বিতরণ কোম্পানিগুলো প্রতিযোগিতা করছে লোডশেডিংয়ের। এক ঘন্টা বিদ্যুৎ পাওয়া গেলে দুই ঘন্টা বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। উপজেলার গ্রামাঞ্চলে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলছে। যার ফলে বিদ্যুৎতের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন উপজেলাবাসী। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, প্রবাসী অধ্যুষিত জগন্নাথপুর উপজেলায় বিগত মাস থেকে অস্বাভাবিক ভাবে বিদ্যুৎতের লোডশেডিং শুরু হয়েছে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে কলকলিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ৩-৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ মিলছে। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামীন জনপদে লোডশেডিং এর তীব্রতা আরো বেড়েছে।
উপজেলার শ্রীধরপাশা গ্রামের একাধিক পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকরা বলেন, এক ঘন্টা বিদ্যুৎ পাওয়া গেলে দুই তিন ঘন্টা বিদ্যুৎ পাওয়া যায়না। প্রচন্ড গরমে বিদ্যুৎ এর যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ আমরা।
কলকলিয়া ইউনিয়নের কাদিপুর এলাকার বাসিন্দা মাহবুবা নামের এক গৃহিনী বলেন, বিদ্যুৎতের মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে সীমাহীন দুর্ভোগে ভুগতে হচ্ছে। ঘরের ফ্রিজে রাখা জিনিষ নষ্ট হইতেছে। পানির মটর না চলায় বিভিন্ন অসুবিধায় ভোগতেছি। একদিকে গরম অন্য দিকে বিদ্যুৎ না থাকায় ছোট বাচ্ছারা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। মোহাম্মদগঞ্জ বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, ঘন ঘন লোডশেডিং এর কারনে ব্যবসা বানিজ্য ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যুৎতের দীর্ঘ লোডশেডিংয়ের কারনে ফ্রিজে রাখা কোল্ড ড্রিংক বিক্রি হচ্ছে না এবং অনেক টাকার আইসক্রীম নষ্ট হয়ে যায়। যার কারনে আইসক্রিম বিক্রিও বন্ধ করেছি।
এবিষয়ে উপজেলা সাব জোনাল অফিসের এজিএম (ওএন্ডএম) ঋষিকেশ বিশ্বাস বলেন, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছেনা যে কারনে লোডশেডিং বাড়ছে।জগন্নাথপুর উপজেলায় আমাদের চাহিদা রয়েছে ৭ মেগাওয়াট। বর্তমানে আমরা পাচ্ছি ৩ থেকে সাড়ে তিন মেগাওয়াট। তিনি জানালেন এ উপজেলায় ২৬ হাজার গ্রাহক রয়েছ।
আজকের নলজুর/১৬আগস্ট২৪/বিডিএন
সম্পাদকঃ জুবায়ের আহমদ হামজা, বার্তা সম্পাদকঃ বিপ্লব দেবনাথ। অফিস: ব্যারিস্টার মির্জা আব্দুল মতিন মার্কেটে, জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ।
Email:- ajkernaljur@gmail.com Mob:- 01880597469