1. admin@ajkernaljur.com : admin :
সেচ্ছাসেবী সংগঠন জগদীশপুর ঐক্য কল্যান পরিষদের উদ্যোগে বন্যার্তদের জন্য ত্রান সংগ্রহ - আজকের নলজুর
২৬শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১২ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| বর্ষাকাল| বৃহস্পতিবার| রাত ৯:৫২|

সেচ্ছাসেবী সংগঠন জগদীশপুর ঐক্য কল্যান পরিষদের উদ্যোগে বন্যার্তদের জন্য ত্রান সংগ্রহ

রিপোর্টার
  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, আগস্ট ৩০, ২০২৪,
  • 127 দেখা হয়েছে

মোঃ মুকিম উদ্দিন জগন্নাথপুর প্রতিনিধি:-

স্বেচ্ছায় জনহিতকর কাজে জড়িত কাজকে আমরা সামাজিক ভাবে স্বেচ্ছাসেবী কাজ বলে থাকি। আর সাংগঠনিক ভাবে পরিচালিত এরকম কর্মকান্ডকে আমরা বলি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

নবীজি হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সাঃ) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হিলফুল ফুজুল সেই ১৪০০ বছর আগেই হতদরিদ্র মানুষকে বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করে মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। কালের বিবর্তনে সময়ের প্রয়োজনে অসংখ্য সুহৃদ মানবসন্তান বৃহৎ অথবা ক্ষুদ্র পরিসরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। আমরা অক্সফাম ইন্টারন্যাশনাল, লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল অথবা আমাদের দেশে পরিচালিত বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের মত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কথা হরহামেশাই পত্রিকায় পেয়ে থাকি। আজ আমরা এরকম একটি ভলান্টিয়ার অর্গানাইজেশনের কথাই বলব যেটি জগদীশপুর ঐক্য কল্যান পরিষদ “বলে নয় করে দেখাব” নামে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।

জগদীশপুর ঐক্য কল্যান পরিষদ ২০১৯ সাল হতে তাদের জনহিতকর কাজ করে আসছে। কার্যক্রম শুরুর প্রথম পর্যায়ে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহাতে দুঃস্থ-অসহায় এবং সমাজে বঞ্চিত মানুষদের ঈদ উদযাপনে প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরন করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিত। তখন ৪০-৫০ পরিবারকে ঈদ সামগ্রী বিতরন করা হলেও এখন সংখ্যায় অনেক। ঈদ ছাড়াও সংগঠনটি বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বিশেষকরে ২০২৪ সালের বন্যায় কুমিল্লা ফেনীসহ তারা ত্রান সহায়তা নিয়ে মানুষদের পাশে দাড়িয়েছে।

এছাড়াও সংগঠনটি বিভিন্ন সময়ে রক্তদান যৌতুক বিরোধী প্রচারনা চালিয়ে সামাজিক জনসচেতনতা করছে। সংগঠনটি প্রতিষ্ঠায় অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেন সংগঠনের সকল সদস্য। তাদের একান্ত প্রচেষ্ঠায় ও কঠোর পরিশ্রম এবং তাদের বন্ধুমহল ও কর্মপ্রিয় অনুজদের সহযোগীতায় সংগঠনটি আজ সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলায় একটি সুপরিচিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

শুরুর দিকে সংগঠনটির তহবিলের উৎস মূলত ছিল স্বেচ্ছাসেবীদের নিজস্ব অর্থায়ন। তাছাড়া স্বেচ্ছাসেবীদের অনেক প্রবাসী সদস্য সংগঠনে বিভিন্ন সময়ে অর্থ প্রদান করছেন।

বলা হয়ে থাকে কীর্তিমানের মৃত্যু নাই৷ এই কর্পোরেট যুগে এসেও, চরম মাত্রায় ব্যস্ততা এবং প্রতিযোগিতার মাঝেও মানুষ মানুষকে নিয়ে ভাবছে; বন্যার্তদের মাঝে ত্রান বিতরনে প্রতিযোগীতা করছে। তাইতো পৃথিবীটা আজও বাসযোগ্য৷ সুকান্ত ভট্টাচার্য্য হয়ত বাসযোগ্য পৃথিবী বলতে ভেদাভেদ শুন্য পৃথিবীর কথাই বলে গিয়েছেন৷ সমাজের বিত্তবানদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এবং যুবকদের উদ্যমে স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম এভাবেই অগ্রসরমান থাকুক৷ গড়ে উঠুক বাসযোগ্য পৃথিবী; এগিয়ে যাক বলে নয় করে দেখাবর মত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

আজকের নলজুর/৩০আগস্ট২৪/বিডিএন

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরণের আরো খবর
© All rights reserved © 2023 আজকের নলজুর
Design and developed By: Syl Service BD