স্মৃতির আয়না:
মির্জা জুয়েল আমিন, লন্ডন থেকে :-
শিক্ষিত জন তার জীবনটাকে বই খাতার মত পরিপাটি করে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখতে সাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি পারিবারিক শিক্ষা একজন মানুষকে দক্ষ কর্মঠ রুচিশীল মনমানসিকতা গরে তুলতে সহযোগিতা করে।
তেমনি একজন মানুষ যার চলনে বলনে আচার-আচরণে সর্বক্ষেত্রে স্মার্টনেস পরিলক্ষিত হয়। বলছিলাম আমার চাচা সাবেক রূপালী ব্যাংকের ম্যানেজার মির্জা আব্দুল মালিক চুনু সাহেবের কথা।
ব্যারিস্টার মির্জা আব্দুল মতিন সাহেব সুপ্রিম কোর্টে কর্মরত তাকায় তৎকালীন সময়ে উনারা ঢাকাতেই বসবাস করতেন। এই সুবাদে উনার লেখাপড়া অনেকটাই কেটেছে ঢাকা শহরে। উনি আমাদের এলাকায় খুবই পরিচিত সবাই উনাকে ভালো মানুষ হিসেবেই চেনে। আর কর্মস্থল ভবের বাজার সৈয়দপুর বাজার এবং কেউনবাড়ী বাজারে ব্রাঞ্চ ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন।
প্রবাসে এবং দেশে অনেকেই চাচার সম্পর্কে আমার কাছ থেকে খোঁজখবর নেন। উনার কাছে আধুনিকতার ছোঁয়া বরাবরই ছিল। সবসময় পরিপাটি থাকতেন। সেই চল্লিশ থেকে ৪৫ বছর আগের কথা শার্ট প্যান্ট লন্ডি না হলে পড়তেন না ।মোস্তফা ভাই লন্ড্রি করানোর জন্য অতুল কাকার দোকানে প্রায়ই যেতে দেখতাম।
আরেকটি কলের গানের মেশিন ছিল আধুনিক নামটা আমি নিজেও ভুলে গেছি। স্ট্যান্ড লাগানো সাদাকালো একটা ছবি তোলার ক্যামেরা ছিল। এই ক্যামেরার ছবি এখনো আমাদের পরিবারের সবার কাছে রয়েছে। ওনাকে দেখতাম বিকেল বেলা অফিস থেকে ফিরে এসে চায়ের পেয়ালা হাতে নিয়ে ইনকিলাব পত্রিকা মনোযোগ সহকারে পড়তেন।
উনার সংগ্রহ হতে এমন কোন সংখ্যা বাদ নেই বছরের পর বছর ইনকিলাব পত্রিকা পাওয়া যেত। হাতের লেখাটাও খুব চমৎকার অনেক আগের কথা আমাদের দলিল জরুরী কাগজপত্রের মধ্যে উনার হাতের লেখা আমাদের ভাই-বোনদের জন্ম তারিখ সহ প্রয়োজনীয় অনেক কিছু উনার হাতের লেখা দেখতে পাই।
সংসার সুখের হয় রমনীর গুনে। উনি বিয়ে করে ছিলেন একজন গুণী মানুষকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত আপাদমস্তক একজন ভদ্রমহিলা । মির্জা রাবেয়া মালিক তিনি ছিক্কা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দীর্ঘদিন চাকরি করেছেন সুনামের সঙ্গে। এখনো ওনার ছাত্র-ছাত্রীর সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ হলে উনার ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়।
মির্জা আব্দুল মালেক চাচা কখনো কারো সাথে খারাপ আচরণ করেছেন বলে শুনিনি উনি ভদ্র মার্জিত এবং রুচিশীল একজন মানুষ হিসেবে এলাকায় পরিচিত। অনেক বছর আগের কথা আমরা রাজনীতি করতাম উনি আমাদের চাচা হওয়ার সুবাদে উনাকেও আসামী হতে হয়েছিল অথচ উনি রাজনীতির ধারে কাছেও নেই। উনি সরকারি চাকরিজীবী মানুষ। দক্ষ কর্মঠ সর্বাঙ্গিন আধুনিক মন মানসিকতায় বিশ্বাসী এরকম একজন মানুষ বর্তমান সমাজে মেলা খুব কঠিন কাজ।
প্রয়াত সাংবাদিক শংকর বাবু যখন আমাদের পড়াতেন উনি এসে আমাদের খোঁজখবর নিতেন। বর্তমানে উনারা অবসরে চাওয়ার পর আমেরিকাতেই বসবাস করছেন।
উনাদের একমাত্র ছেলে সে দেশে ডাক্তার। মেয়েরও বিয়ে হয়ে গেছে। অবসর সময়ে সামাজিক কর্মকাণ্ডের যোগদান করেন। আমি মির্জা আব্দুল মালিক চুনু চাচা মির্জা রাবেয়া মালিক চাচীর । নেক হায়াত এবং দীর্ঘায়ু কামনা করি আল্লাহ যেন আপনাদের সুস্থ রাখেন আমীন।
সহ-সম্পাদক : মির্জা জুয়েল আমিন, আজকের নলজুর পত্রিকা।
সম্পাদকঃ জুবায়ের আহমদ হামজা, বার্তা সম্পাদকঃ বিপ্লব দেবনাথ। অফিস: ব্যারিস্টার মির্জা আব্দুল মতিন মার্কেটে, জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ।
Email:- ajkernaljur@gmail.com Mob:- 01880597469