সালেহ আহমদ (স’লিপক):-
সাম্প্রতিক সময়ে কিছু সংখ্যক দুষ্কৃতিকারী সারা দেশব্যাপী আউলিয়ায়ে কেরামের মাজার এবং দরবারে হামলা ও ভাংচুরের মতো জঘন্যতম অপরাধ সংগঠিত করেছেন। এ ধরনের ন্যাক্কারজনক হামলা ও ভাংচুরের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ হযরত শাহজালাল (রঃ) ৩৬০ আউলিয়া ভক্তবৃন্দ পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ জালাল ফরিদ উদ্দীন ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এম.এ খালিক।
নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে বলেন, যারা মাজার ভাংচুর করছে তাদের অলী-আল্লাহগণের শান-মর্যাদা এবং রওজা-মাজার সম্পর্কে কোন জ্ঞান নেই। বাংলাদেশে ইসলাম এসেছে অলী-আল্লাহগণের মাধ্যমে। অথচ আজ কিছু অজ্ঞ দুষ্কৃতিকারী মাজার ও দরবারসমূহে হামলা চালাচ্ছে, যা খুবই দুঃখজনক।
বিবৃতিতে নেতৃবন্দ বলেন, আজ মাজার ভাঙবে, কাল সত্যপন্থি পীরদের দরগা-দরবার ভাঙা হবে, পরশু ভিন্ন তরিকার মসজিদ ভাঙা হবে। এ সকল নৈরাজ্য যারা করে বেড়াচ্ছেন, তারা ইসলাম ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন। বাংলাদেশের জনগণকে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, অবিলম্বে দেশের মাজার, দরবার ও খানকাহ শরীফ ভাঙার সাথে জড়িত সকল ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। যে সকল মসজিদে উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ প্রচার করার মাধ্যমে তরিকতপন্থী মাজার ও দরবার ভাঙচুরে উসকানি দেওয়া হচ্ছে, অতি শীঘ্রই তাদের শাস্তি প্রদান করতে হবে। যে সকল ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উসকানিমূলক বিবৃতি দিয়ে ধর্মীয় দাঙ্গা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে, অবিলম্বে তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। উগ্রবাদীদের হামলায় যারা আহত হয়েছেন, তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে ও যারা নিহত হয়েছেন, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে বিচার করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ যে সকল দরবার এবং মাজার শরীফে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট হয়েছে, মাননীয় ধর্ম উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে ঐ সকল স্থান পরিদর্শন করে সকল দরবার ও মাজারে সেনা সদস্য মোতায়েন করার মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে জোর দাবী জানান।
আজকের নলজুর/১১সেপ্টেম্বর২৪/বিডিএন