সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:-
দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের সিএ শফিকুর রহমানের বিরুদ্ধে এক নীরিহ পরিবারের সাথে প্রতারণা করে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতি করার অভিযোগ উঠছে। এর প্রতিবাদ করায় ছুরিকাঘাত করে প্রাননাশের চেষ্ঠা ও লাশ ঘুম করে ফেলার হুমকি প্রদান করেছে শফিকুর গংরা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অভিযোগকারী নুর হোসেন (৩৮) এর ছোট ভাই মোফাজ্জল হোসেন সস্ত্রীক স্টুডেন্ট ভিসায় সুইডেন যেতে চাইলে চাকুরীর অভিজ্ঞতার জন্য একটি প্রত্যায়নপত্রের প্রয়োজন পড়ে। এ সময় বিবাদী শফিকুর রহমানকে নিয়ে চকবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোতালিবের সাথে এই বিষয়ে কথা বলার পর তিনি একটি প্রত্যায়নপত্র প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে সার্টিফিকেটসহ গত ২৮.০৪.২৪ ইং তারিখে সুইডেন স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করা হয়। পরবর্তীতে অভেযোগকারীর ছোট ভাই’র স্ত্রীর ইন্টারভিউ সম্পন্ন হলে গত ১৪ই আগস্ট ই-মেইলের মাধ্যমে ভিসা কনফার্ম করা হয়।
এদিকে অভিযোগকারীরর ছোট ভাইয়ের ইন্টারভিউ দেয়ার তারিখও নির্ধারণ করা হয়। তারই প্রেক্ষিতে অভিযোগকারীরর ছোট ভাই গত ১৪ ই আগস্ট ইন্টারভিউ দিতে গেলে শফিকুর রহমানের সাথে সুইডিশ এমব্যাসি, ঢাকা থেকে একজন অফিসার মোবাইল ফোনে প্রত্যায়নপত্র সংক্রান্তে জানতে চাইলে শফিকুর রহমান কিছু জানেন না বলে জানান। এমনকি তিনি চকবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোতালিবকে চিনেন না বলে সুইডিস এমব্যাসি, ঢাকার অফিসারকে তথ্য প্রদান করেন। এমন তথ্য পরবর্তীতে সুইডিস এমব্যাসি ঢাকা থেকে সুইডেনে তথ্য প্রদান করে।
এসব বিষয়ে কিছু না জানার কারনে অভিযোগকারীর ভাই ও স্ত্রী সুইডেন এর ভিসা কনফার্ম হওয়ায় দেড় লক্ষ টাকায় বাসা বুকিং, ফ্লাইট বুকিং ও সুইডেন যাওয়া বাবদ প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা খরচ করেন। এছাড়াও গত ২৬ শে আগস্ট সুইডিশ ইউনিভার্সিটিতে কোর্সও রেজিস্টেশন করে। এদিকে গত ২৯ শে আগস্ট সুইডিশ এমব্যাসি জানায় তাদের সুইডেন এর ভিসা বাতিল হয়ে গেছে। তাদের কাছে ভিসা বাতিলের কারন জানতে চাইলে শফিকুর রহমানের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভিসা বাতিল করা হয়েছে বলে জানান। শফিকুর রহমানের এমন কার্যকলাপে ২৫ লক্ষাধিক টাকা খরচ করে পথে বসার পথে ওই নীরিহ পরিবারের লোকজন। জায়গা-সম্পত্তি বিক্রি করে সবগুলো টাকা খরচ করে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী নূর হোসেন জানান, সুইডিস এমব্যাসিতে শফিকুর রহমানের দেয়া ভূল তথ্যের কারনে আমরা ২৫ লক্ষ টাকা খরচ করে এখন পথে বসার পথে। কেন তিনি এমনটা করলেন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে উনি উগ্রবাদী আচরন করেন। স্থানীয় আ’লীগের প্রভাব কাটিয়ে কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে বেপরোয়া হয়ে উঠনে তিনি।
প্রানে হত্যার উদ্দেশ্যে আমাকে ছুরিকাঘাত করলে আমি হাত দিয়ে তা প্রতিহত করতে গিয়ে আমার দুটি আঙ্গুল কেটে রক্তাক্ত জখম হয়। দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তারা আমাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে আমাদের মারাত্মকভাবে জখম করে। সেই সাথে আমাদের প্রাননাশের হুমকি প্রদানসহ লাশ ঘুম করে দেয়ার হুমকি প্রদান করে। স্থানীয়ভাবে বিষয়টা সমাধান করার চেষ্ঠা করা হলেও তার প্রভাবের কারনে সেটা সম্ভব না হওয়ায় জীবনের নিরাপত্তার চেয়ে দোয়ারাবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
এ বিষয়ে দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ বদরুল হাসান জানান, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
আজকের নলজুর/০৯সেপ্টেস্বর২৪/বিডিএন