মোঃ মুকিম উদ্দিন, নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ-
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের জগদল ইউনিয়নের রায়বাঙ্গালী গ্রামে পূর্ব বিরোধের জের ধরে আজ ৪ অক্টোবর শুক্রবার বাদ জুম্মা জগদল ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার মনু মিয়া ও রায়বাঙ্গালী শাহজালাল দাখিল মাদ্রসার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সদ্য সাবেক সভাপতি আব্দুল মালিক এর লোকজনের মারমুখী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়।
খবর পেয়ে দিরাই থানা পুলিশ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উভয়পক্ষের লোকজনকে বিষয়টি আপোষে নিষ্পত্তি করে দেয়ার প্রস্তাব করলে উভয়পক্ষ একমত পোষণ করেন।
জানা যায়, আব্দুল মালিক রায়বাঙ্গালী শাহজালাল দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদ্য সাবেক সভাপতি। একই গ্রামের মনু মিয়া সাবেক মেম্বার ও তার দল এবং আব্দুল মালিক এর গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত পারিবারিক বিরোধ ও মামলা মোকদ্দমা চলে আসাবস্থায় মনু মিয়া সাবেক মেম্বার ও তার দল মাদ্রাসা ফান্ডের টাকা মাদ্রাসার একাউন্টে জমা রাখা নিয়ে বিগত ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার এ নিয়ে মাদ্রাসায় সালিশ অনুষ্ঠিত হয়।
টাকা জমা রাখা নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সালিশগনের সম্মুখে কথা কাটাকাটি ও উত্তেজনা দেখা দিলে সালিশ পন্ড হলে দুই গ্রুপের লোকজন সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। মনু মিয়ার বাড়ি মাদ্রাসা সংলগ্ন হওয়ায় দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে আব্দুল মালিক এর লোকজনকে মারপিট শুরু করলে আব্দুল মালিক এর পক্ষের অন্তত চল্লিশ জন আহত হন। পরবর্তীতে উভয় পক্ষের লোকজন অবৈধ বন্ধুক দিয়ে গুলি ছুড়া শুরু করলে দুই গ্রুপের লোকজন গুলিবিদ্ধ হন।
বিগত ২০২০ সালের জুলাই মাসে মনু মিয়ার নিজস্ব অবৈধ একনলা বন্দুকসহ তাহার বাহিনীর সদস্য জমিল ও জিয়াউর কে গ্রেফতার করে ৬ জনকে আসামি করে দিরাই থানা পুলিশ মামলা দায়ের করেন।
আব্দুল মালিক এর পক্ষের লোকজন বলেন, আমরা গ্রামের শান্তিপ্রিয় মানুষ। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আপনারা এসে আমাদেরকে সংঘর্ষ থেকে হেফাজত করায় আমরা খুশি। আপনারা যেভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তি করবেন আমরা রাজি আছি। তবে মনু মেম্বারের পক্ষের লোকজন আমাদেরকে মসজিদে নামাজ পড়তে দেয়নি সেটি দেখবেন এবং আমাদের লোকজন কোন বিশৃঙ্খলা করবেনা।
মনু মিয়ার পক্ষের আব্দুল আওয়াল বলেন, আমরা সালিশে বসতে রাজি আছি। তবে সালিশ বসার আগ পর্যন্ত আমাদের লোকজন কোন বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করবেনা।
আজকের নলজুর/০৪অক্টোবর২৪/বিডিএন