মির্জা জুয়েল আমিন, লন্ডন থেকেঃ-

বর্হিবিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আমাদের জগন্নাথপুরের রত্নগর্ভা সন্তান যুক্তরাজ্যের মূল স্রোতাধারার রাজনীতির সাথে জড়িত মার্জিত ভদ্র সাদা মনের মানুষ ডিপ্লোম্যাটিক কথাবার্তায় পারদর্শী একাধারে বহু গুণের অধিকারী রাজনীতিবিদ সমাজসেবী সংবাদ প্রেমী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব দক্ষ সংগঠক সর্বোপরি সমাজকে কিছু দেয়ার প্রত্যয় নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে সমাজ উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন আমাদের জগন্নাথপুরের কৃতি সন্তান আমার খুব প্রিয় ব্যক্তিত্ব শের এম সাত্তার ভাই।

1970 এর দশকের গোড়ার দিকে বাংলাদেশ থেকে ইংল্যান্ডে চলে আসেন উনার বাবার চাকরির কারণে নর্থহ্যাম্পটনে এবং পরে 1984 সালে সাউদাম্পটনে স্থানান্তরিত হওয়ার আগে পূর্ব লন্ডনে বসতি স্থাপন করেন। পড়াশুনা শেষ করার সময়, উনার ভাইদের সাথে পরিবারের ভারতীয় (বাংলাদেশী) টেকওয়ে ব্যবসা পরিচালনায় যোগ দিয়েছেন সামাজিক ন্যায়বিচার এবং অ্যাডভোকেসির প্রতি প্রতিশ্রুতি দ্বারা চালিত, উনি ভবিষ্যত প্রজন্মকে প্রভাবিত করে এমন নীতি গঠনে সরাসরি অংশগ্রহণের গুরুত্ব স্বীকার করে, সম্প্রদায়ের কাজে সক্রিয়ভাবে জড়িত হয়েছেন তাই দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে ভবিষ্যত প্রজন্মের সুবিধার জন্য সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশকে প্রভাবিত করার জন্য স্থানীয় সম্প্রদায়ের সাথে জড়িত হওয়া অপরিহার্য।

1992 সালে, উনি লেবার পার্টিতে যোগদান করেন এবং 1995 সাল নাগাদ সাউদাম্পটন টেস্ট লেবার পার্টির বিটার্ন ওয়ার্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান হয়ে ছিলেন টনি ব্লেয়ারের 1997 সালের প্রচারণার সময়, উনি সাউদাম্পটনে লেবার-এর প্রচারাভিযানের প্রচেষ্টার সমন্বয় করেছিলেন, রেকর্ড ভোটার ভোটদান এবং একটি নিষ্পত্তিমূলক বিজয়ে অবদান রেখে ছিলেন 2015 সালে, উনি রমসি এবং সাউদাম্পটন নির্বাচনী এলাকা লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এবং সদস্য সচিব নিযুক্ত হয়েছিলেন।

বছরের পর বছর ধরে, দক্ষিণ ইংল্যান্ড জুড়ে বিভিন্ন অলাভজনক সংস্থাগুলিতেও অবদান রেখেছেন 2012 এবং 2015 এর মধ্যে, উনি অ্যামিটি ইন্টারন্যাশনাল এইড, একটি নিবন্ধিত দাতব্য সংস্থার সভাপতিত্ব এবং 2017 সালে, ব্রিটিশ বাংলাদেশ কালচারাল একাডেমি ইউকে প্রতিষ্ঠা করেন। উপরন্তু, 2017 থেকে 2023 সাল পর্যন্ত ইস্টলেগ মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা কমিটির একজন সিনিয়র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন যেটি 2018 সালে একটি দাতব্য সংস্থা হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছিল। উনার অবদানের জন্য, ইস্টলেহ কর্তৃক অসামান্য সম্প্রদায় সেবার জন্য মেয়র পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছিলেন ।2019 সালে বরো কাউন্সিল।

একজন মানবাধিকার আইনজীবী হিসেবে, 2015 সাল থেকে অ্যামনেস্টি ইন্টার ন্যাশনালের একজন সক্রিয় সদস্য। এই ক্ষেত্রে কাজ স্থানীয় সংসদ সদস্য, আন্তর্জাতিক কূটনীতিক, এবং জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিটির সাথে বাংলাদেশের মানবাধিকার বিষয়গুলোকে প্রভাবিত করার জন্য সহযোগিতা করার অন্তর্ভুক্ত। 2017 সালে, হ্যাম্পশায়ার কাউন্টি কাউন্সিলের জন্য দৌড়েছিন ।

উল্লেখযোগ্যভাবে শ্রমের সমর্থন বাড়িয়ে ছিলেন এবং 2021 সালে, ইস্টলেহ টাউন কাউন্সিলের কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। ইসলামী মূল্যবোধ এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী বিশ্বাসী।

ইউকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর মধ্যে, 2008 সাল থেকে বেশ কয়েকটি নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করেছিলেন, যার মধ্যে আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করা, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আমন্ত্রণে একটি পদ গ্রহণ করেছিলেন।

উনার কর্মজীবন জুড়ে, স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয়ভাবেই ব্যক্তিদের অধিকার এবং মর্যাদার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে কাজ করেছেন। আমার সাথে ভালো সম্পর্ক থাকার সুবাদে উনার সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে এবং বুঝতে পেরেছি। এরকম একজন রত্নগর বা সন্তান আমাদের এলাকায় আছেন এজন্য আমরা খুবই গর্বিত। আমি উনার সুস্বাস্থ্য এবং সাফল্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা।

সহ-সম্পাদক : মির্জা জুয়েল আমিন, আজকের নলজুর পত্রিকা।

আজকের নলজুর/১১নভেম্বর২৪/বিডিএন