1. admin@ajkernaljur.com : admin :
সুনামগঞ্জে সরকারি খাস খতিয়ানভূক্ত বিল ও ডোবা শুকিয়ে মৎস্য আহরনের পায়তারা করছে প্রভাবশালী চক্র - আজকের নলজুর
২৭শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১৩ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| বর্ষাকাল| শুক্রবার| ভোর ৫:৪৯|

সুনামগঞ্জে সরকারি খাস খতিয়ানভূক্ত বিল ও ডোবা শুকিয়ে মৎস্য আহরনের পায়তারা করছে প্রভাবশালী চক্র

রিপোর্টার
  • আপডেটের সময় : শনিবার, জানুয়ারি ১৮, ২০২৫,
  • 31 দেখা হয়েছে

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:-

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কাঠইর মৌজাস্থ মদনপুর গ্রামের পূর্বদিকে অবস্থিত সরকারী খাস খতিয়ানভূক্ত জায়গার ছোট বড় ৯টি বিল ও ডোবার মৎস্য আহরনের পায়তারা করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। অভিযোগ উঠেছে নারকিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমির উদ্দিনের নেতৃত্বে ওই চক্রটি বিল ও ডোবা জোরপূর্বক দখল করে দীর্ঘদিন ধরে দেশীয় প্রজাতির মাছ নিধন করে আসছে। এছাড়াও পাওয়ার পাম্পের সাহায্যে পুরো বিল শুকিয়ে মৎস্য আহরনের পায়তারা করছে চক্রটি।

ফলে একদিকে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব অপরদিকে বিলুপ্ত হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির নানা জাতের মাছ। সরকারের রাজস্ব ও দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় তাই জেলা প্রশাসকের দ্বারস্থ হন গোবিন্দপুর-মদনপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাধারন সম্পাদক রফিক মিয়া। লিখিত এক আবেদনে সরকারী খাস খতিয়ানভূক্ত ৯টি বিল ও ডোবা রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে খাস কালেকশন অথবা সরকারের নির্দেশে কোন কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রনে রাখার দাবী জানান তিনি।

জানা যায়, মদনপুর গ্রামের আমির উদ্দিন ক্ষমতার অপব্যাবহার করে দেশীয় অস্ত্রধারী বাহিনী নিয়ে জোরপূর্বক সরকারি ৯টি বিল ও ডোবায় কাটা, বাঁশ, নৌকা ও পাহাড়াদার দিয়ে তা নিজ দখলে নেন। পরবর্তীতে ওই বিলের মাছ আহরণ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে ৮ লক্ষ ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে অন্য একটি চক্রের কাছে বিক্রি করে দেন। সরকারী খাস খতিয়ানের বিল ও ডোবা ওই তথাকথিত শিক্ষক আমির উদ্দিন কিভাবে নগদ অর্থে বিক্রয় করতে পারেন তা নিয়ে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যে কোন সময় এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে বলে ধারনা সচেতন মহলের।

এদিকে এই প্রভাবশালী চক্রের মূলহোতা আমির উদ্দিন ও মদনপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি সেজুল মিয়া ও সাধারন সম্পাদক আব্দুন নূর গংদের বিরুদ্ধে রফিক মিয়ার ইজারা প্রাপ্ত জলমহালের প্রায় ৪/৫ লক্ষাধিক টাকার মৎস্য লুটের অভিযোগ রয়েছে। সরকারী নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে পাওয়ার পাম্প লাগিয়ে বিল শুকিয়ে মাছ নিধন করে তারা। এ বিষয়ে তিনি তাৎক্ষনিক ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে ফোন দিলে সরজমিনে এসে ঘটনার সত্যতা পান ওই ভূমি কর্মকর্তা।

তাই প্রভাবশালী আমির উদ্দিন ও তার বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান তিনি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আমির উদ্দিন জানান, আমার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। বিল ও ডোবার বিষয়ে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই।

আজকের নলজুর/আরএন/১৮-০১-২৫ইং

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরণের আরো খবর
© All rights reserved © 2023 আজকের নলজুর
Design and developed By: Syl Service BD