সালেহ আহমদ (স’লিপক):-
নাফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন সংস্থা (বিএফআইডিসি) এর অবসরপ্রাপ্ত পরিচালক ফারুকুর রশিদ চৌধুরী আর নেই। তিনি শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকাল পৌনে ১২টায় মৌলভীবাজার লাইফ লাইন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয় ইন্না ইলাহি রাজিউন)
শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে তাঁর গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার কামারগাঁওয়ে (নূরগাঁও) চৌধুরী পরিবারের পারিবারিক গোরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। তিনি দুই পুত্র, এক কন্যা, নাতি-নাতনি সহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
ফারুকুর রশিদ চৌধুরী পাকিস্তান আমলের শেষ দিকে বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন সংস্থা (বিএফআইডিসি) এর কক্সবাজারের রামুতে একজন ফিল্ড অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। কর্মদক্ষতা ও সততার কারণে তিনি ধাপে ধাপে প্রমোশন লাভ করেন। কর্মজীবনে তিনি ওই সংস্থার মৌলভীবাজারের কুলাউরা উপজেলার ভাটেরা, হবিগঞ্জের রোপাইছড়া এবং খুলনাতে ম্যানেজার ও সুপারেনটেন্ডন্ট হিসেবে নিষ্টার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯২ সালে ঢাকা হেড অফিস থেকে তিনি পরিচালক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।
অবসরকালীন সময়ে ব্রিটিশ কোম্পেনী ডানকান ব্রাদার্স তাঁকে কোম্পানীর বাংলাদেশ প্রধান হিসেবে দশ বছরের চুক্তিতে নিয়োগ দেয়। সেখানেও তিনি দক্ষতার পরিচয় দেন। বাংলাদেশে ব্রিটিশ কোম্পেনী ডানকান ব্রাদার্সের চা এবং রাবার প্রজেক্টগুলো তার সময়ে আলোর মুখ দেখে। এ কারণে কোম্পেনী তাকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদান করে। ব্যক্তি জীবনে ফারুকুর রশিদ চৌধুরী ছিলেন খবই অমায়িক চরিত্রের অধিকারী। অবসরকালীন সময়ে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা শহরের বাসায় অবস্থান করলেও হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার তাঁর নিজ গ্রাম কামারগাঁও (নূরগাঁও) এবং এলাকার উন্নয়নে ছিলেন আন্তরিক। তিনি গ্রামের মসজিদের দায়িত্ব নিয়ে মসজিদের অবকাঠামোগত উন্নয়নে অগ্রণী ভুমিকা পালন করেন।
মরহুম ফারুকুর রশিদ চৌধুরীর রুহের মাগফেরাত কামনা করে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে লন্ডন প্রবাসী পুত্র শোয়েব উর রশিদ চৌধুরী, চাচাত ভাই সাংবাদিক মতিয়ার চৌধুরী, লন্ডন প্রবাসী ভ্রাতুষ্পুত্র জালাল চৌধুরী, তালহা চৌধুরী, আক্তার হোসেন চৌধুরী ও হেলালুর রশিদ চৌধুরী সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
আজকের নলজুর/আরএন/০৫-০১-২৫ইং