মোঃ মুকিম উদ্দিন.জগন্নাথপুর প্রতিনিধি:-
অনাবিল শান্তি ও অবারিত আনন্দের বার্তা নিয়ে ঈদের একফালি চাঁদ পশ্চিম দিগন্তে ভেসে ওঠে, তখন সর্ব শ্রেণীর মানুষের হৃদয়-গহিনে বয়ে যায় আনন্দ উচ্ছ্বাসের মৃদু দোলা। ঈদ বান্দার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি বড় নেয়ামত। ঈদ’ শব্দের আরবি শব্দমূল ‘আউদ’। ঈদ অর্থ যা ফিরে ফিরে আসে। ‘ফিতর’ শব্দের অর্থ ভেঙে দেওয়া বা ইফতার (নাস্তা) করা। ঈদুল ফিতর মানে সে আনন্দঘন উৎসব যা দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর আসে। আসে সুশৃঙ্খল আচার-আচরণের তীর ঘেষে।নৈতিক,আত্মিক ও সামাজিক পরিশুদ্ধির সীমানা পেরিয়ে সামস্টিক কল্যান নিয়ে ঈদ আসে। ঈদ আসে কৃচ্ছ্র ও শুদ্ধতার প্রতীক হয়ে। তাকওয়ার (আল্লাহভীতি) শক্তিতে বলীয়ান হয়ে নতুন জীবনে ফেরার অঙ্গিকার নিয়ে ঈদ আসে। আর আল্লাহপাকের রহমত, মাগফিরাত ও নাজাত লাভের এক মাস সিয়াম সাধনার মধ্য দিয়ে আমাদের মাঝে যে ঈদ আসে তা হলো ঈদুল ফিতর। একজন রোজাদারের জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয় হলো খোদাতায়ালার আদেশ অনুযায়ী মাসব্যাপী রোজা রাখতে আল্লাহ তাকে তৌফিক দিয়েছেন।
এ খুশি প্রকাশ করতেই রমজান মাস শেষ করে শাওয়াল মাসের ১ তারিখে ঈদের আনন্দে মিলিত হয়। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য উৎসাহ উদ্দীপনায় সারা দেশের ন্যায় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন মুসল্লিরা।উপজেলার প্রায় পাঁচশতাধিক ঈদগাহ মাঠে ও মসজিদে সকাল ৮ টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। অন্য বছরগুলোর মতো এবছরও ঈদগাহ ও মসজিদগুলোতে মুসল্লীদের ঢল ছিল।জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ বরকত উল্লাহ বলেন,ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জগন্নাথপুরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ঈদের জামাত সম্পন্ন হয়েছে। তিনি উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
এদিকে নোয়াপাড়া জামে মসজিদে, মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা জাকির হোসেন ঈদ উল ফিতরের জামায়াত পরিচালনা করেন। নামাজ পূর্ব ঈদ উল ফিতরের তাৎপর্য নিয়ে বয়ান করেন তিনি। এছাড়াও নোয়াপাড়া জামে মসজিদে ঈদুল ফিতরের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদ জামায়াতে শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত অংশ গ্রহন ছিল লক্ষনীয়। সেই সাথে ঈদের জামায়াতের পর ইসলামিক প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী মুসল্লিরা কোলাকুলি এবং কুশল বিনিময় করেন।
আজকের নলজুর/আরএন/৩১-০৩-২৫ইং