সফিকুল ইসলাম, মুরাদনগর(কুমিল্লা)প্রতিনিধিঃ-
কুমিল্লার মুরাদনগরে পরিবহন শ্রমিককে গ্রেপ্তার ও বাস মালিক সহ বিএনপি’র নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার প্রতিবাদে ধর্মঘট পালন করেছে চালকরা। বুধবার সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জ বাস স্টেশন থেকে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ করে ধর্মঘট পালন করেন কুমিল্লা জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন কোম্পানীগঞ্জ শাখা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোম্পানীগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী তিশা ও গোমতী, চট্টগ্রামগামী প্রান্তিক, হানিফ, বিআরটিসি, কুমিল্লা ও বি-বাড়িয়াগামী বাস রয়েল সুপার, ফারজানা, সুগন্ধা, ফারহানা ট্রান্সপোর্টের কাউন্টারসহ সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। হঠাৎ করে বাস চলাচল বন্ধ হওয়ায় দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে যাত্রীদের। রাস্তায় বাস না পেয়ে আটোরিকশা ও ভ্যানে করে যার যার গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হয়েছে।
ধর্মঘট পালনরত শ্রমিকরা জানায়, মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাস-মালিক সমিতি বিভিন্ন পয়েন্টে যানবাহন নিয়ন্ত্রন ও সিরিয়াল ঠিক রাখার জন্য কিছু শ্রমিক নিয়োগ দেয়। গত সোমবার সন্ধ্যায় ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয়ে উল্টো পথে সিএনজি নিয়ে জেতে চাইলে লাইনম্যানের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। পরে ছাত্র সমন্বয়করা ওই লাইনম্যান আবুল কালামকে চাঁদাবাজ আখ্যা দিয়ে পুলিশে দিয়ে দেয়। পরে লাইনম্যান আবুল কালামের মুক্তির দাবিতে মুরাদনগর থানার সামনে পরিবহন শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে ছাত্র সমন্বয়ক ও পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে মুরাদনগর থানা পুলিশ ও ছাত্র সমন্বয়ক বাদি হয়ে পরিবহন শ্রমিক ও বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করে।
পরিবহন শ্রমিক আল-আমিন বলেন, আমরা শ্রমিক মানুষ, পরিশ্রম করে সংসার চালাই। ধর্মঘট পালন করলে আমাদের নিজেদেরই ক্ষতি। কিন্তু কিছু করার নেই, এভাবে চলতে পারেনা। ক্ষমতা আছে বিধায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করবেন এটা হতে পারে না। আমরা চাই শ্রমিকদের মুক্তি ও তাদের বিরুদ্ধে করা হয়রানি মূলক মামলা প্রত্যাহার করা হোক। অন্যথায় কর্মবিরতি চালিয়ে যাবো। রয়েল সুপারের মালিক জহির খান বলেন, সোমবার বিকেলে কোম্পানীগঞ্জ সিএনজি স্টেশনে গাড়ীর সিরিয়াল নিয়ে সৃষ্ট ঘটনায় থানায় একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে মুরাদনগর থানা পুলিশ বেশকিছু শ্রমিককে গ্রেফতার করে এবং শ্রমিকদের উপর মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এই প্রতিবাদে শ্রমিকরা ধর্মঘট পালন করছেন। আমরা গাড়ীর মালিক, কিন্তু গাড়ীতো আর আমরা চালাই না, গাড়ি চালায় শ্রমিকরা। আমরা মালিকপক্ষ তাদের অনেক বুঝিয়েছি যে এখন ঈদের সময়, গাড়ী বন্ধ করলে মানুষের দুভোর্গ হবে। তবুও তারা তাদের উপর পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে আজ বুধবার অর্ধবেলা ধর্মঘট করেছে।
আজকের নলজুর/আরএন/২৬-০৩-২৫ইং