সফিকুল ইসলাম, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ-
আর কয়েকদিন মুসলমানদের বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। আর এই ঈদকে ঘিরে শেষ মূহুর্তে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার গ্রাম গঞ্জের বাজার থেকে শুরু করে বিভিন্ন মার্কেট ও শপিংমল গুলোতে জমে উঠেছে ঈদের বেচাকেনা। অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন মার্কেটগুলোতে। কেউ কিনেছেন নিজেদের জন্য, আবার কেউ স্বজনদের জন্য। সবাই কেনাকাটায় ব্যস্ত।
মঙ্গলবার ঘুরে দেখা যায়, উপজেলা সদরের নিউ মার্কেট, গোমতি মার্কেট, কোম্পানীগঞ্জ বাজারের কলেজ মার্কেট, কলেজ সুপার মার্কেট, রামচন্দ্রপুর বাজার ও বাঙ্গরা বাজারের বিভিন্ন বিপণী বিতানগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। তবে নিম্ন আয়ের মানুষেরা ফুটপাত ও মার্কেটের বাহিরের ছোট ছোট দোকান গুলোতে ভিড় করছে বেশি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায় দোকানিদের। ক্রেতারা সামর্থ্য অনুযায়ী দোকান থেকে পছন্দের পোশাক কিনছেন। পরিবারের সকল সদস্যের মুখে হাসি ফোটাতে পোশাক কেনার পাশাপাশি প্রসাধনী, অলংকার, জুতা, স্যান্ডেল ও দর্জির দোকানগুলোতে বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়।
ঈদের কেনাকাটা করতে আসা সাহানা আক্তার বলেন, ‘পরিবারের শিশু ও বয়স্কদের জন্য কেনাকাটা করতে এসেছি। শিশু ও পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের হাসি মুখে ঈদ উদযাপন করতে দেখলেই আমাদের ঈদের আনন্দ পূর্ণ হয়ে যায়। উপজেলা সদরের নিউ মার্কেটের দোকানী রনজিৎ দেবনাথ বলেন, ‘তৈরি পোশাকের দোকানে বেচাকেনা বেশি হয়। সিট কাপড় ও থ্রি পিস এর দোকানে রোজার শেষ দিকে এসে বেচাকেনা কম হয়ে যায়। কারণ, দর্জিরা শেষ সময়ে এসে নতুন পোশাকের অর্ডার নেন না। তবে সব মিলিয়ে ভালোই বিক্রি হচ্ছে। কলেজ সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে বিক্রি আরো বেড়েছে। আশা করি ঈদের আগের দিন পর্যন্ত জমজমাট থাকবে।
বিসমিল্লাহ ক্লথ ষ্টোর এর কর্মচারী জানান, ঈদে আমরা ক্রেতাদের জন্য নতুন নতুন কালেকশন নিয়ে এসেছি, ক্রেতারাও পছন্দ করছেন, দামও সাধ্যের মধ্যেই রয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ বিক্রিও ভালো হচ্ছে।
প্রসাধনি সামগ্রির দোকান মা-মনি জেনারেল স্টোরের মালিক আনার খাঁন জানান, এখন বিক্রি ভালই হচ্ছে। অনেকের কেনাকাটা শেষ। তাই পোশাকের সাথে ম্যাচিং করে ক্রেতারা বিভিন্ন চুড়ি, গয়না, বাচ্চাদের বেন্ট, মালা, কসমেটিকস সহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনছেন। জুতার দোকানের মালিক তৌফিক বলেন, রোজার প্রথম দিকে বিক্রি একটু কম হলেও এখন ভালো বিক্রি হচ্ছে। আশা করি চান রাত পর্যন্ত ভালো বিক্রি হবে।
এদিকে ঈদ বাজারকে নির্বিঘ্নে করতে তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুর রহমান জানান, উপজেলার প্রতিটি মার্কেট ও বিপনি বিতান গুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরা নজরদারি রাখছে। কোন প্রকার সমস্যা যাতে না হয় সেদিকে মুরাদনগর থানা পুলিশের নজর রয়েছে।
আজকের নলজুর/আরএন/২৬-০৩-২৫ইং