বিশেষ প্রতিনিধি:-
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের রানীগঞ্জ কলেজের পাশে দীর্ঘ ১৫ ধরে জবর দখলকৃত জায়গা এলাকার মুরুব্বিগন মিলে উদ্ধার করেন। এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনা ঝড় বইছে।
স্থানীয়রা জানান, ইসলামপুর গ্রামের মৃত আব্দুল ছত্তার মিয়ার ছেলে আবুল লেইচ মিয়ার ক্রয় সূত্রে গন্ধর্ব্বপুর মৌজার রানীগঞ্জ কলেজের পাশে আমন রকম ৮৩ ভূমি ক্রয় করে ও রাস্তার পাশে ঐ জায়গার উপর একটি ঘর নিমার্ণ করেন। আবুল লেইচ মিয়া লন্ডন প্রবাসে থাকার কারনে উনার সম্মত্তি বাগময়না গ্রামে হাজী মজলুর হকের কাছে দেখে রাখার দায়িত্ব দিয়ে যান। এই সুযোগে হাজী মজলুল হক ভুয়া পাওয়ার অব এটলোনি দেখিয়ে ঐ ঘর ও জমি নিজের বলে দাবি করেন এবং মজলুল হক গন্ধর্ব্বপুর গ্রামের মতিন মিয়ার পরিবার সহ এই ঘরে থাকার জন্য জায়গা দেন। এই খবর পেয়ে আবুল লেইচ মিয়া দেশে এসে মতিন মিয়াকে ঘর থেকে বাহির হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
মতিন মিয়া বলেন, আমি মজলুল হকের কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে এই ঘরে বসবাস করছি। যদি বাহির হতে হয় আমাকে ৫লক্ষ টাকা পরিশোধ করতে হবে। আবুল লেইচ মিয়া ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে থানায় জিডি করেন। বর্তমান চেয়ারম্যান এলাকার মুরুব্বীগন মিলে দখল হওয়া এই জমি উদ্ধার করেন। এ সময় বর্তমান চেয়ারম্যান শেখ ছদরুল ইসলাম, স্থানীয় মেম্বার কাউছার তালুকদার, রানীগঞ্জ মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক কাজী নজরুল ইসলাম নিজামী, রানীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী আনর মিয়া, মাহতাব মিয়া, বাতির মিয়া, আলিম মিয়া, কাজল মিয়া, টিপু মিয়া, তৈয়লুছ মিয়া, ফরুপ মিয়া, মজনু মিয়া, বেলাল মিয়া সহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে আবুল লেইচ মিয়া জানান, আমার নিকট আত্নিয় মজলুল হককে আমার সম্পত্তি দেখার দায়িত্ব দিয়ে যাই। আমি লন্ডন থাকা অবস্থায় হাজী মজলুল হকের মাধ্যমে ঐ জায়গার উপর একটি পাকা ঘর নিমার্ণ করি। উনার দায়িত্বে থাকা সুবাদে সুযোগে তিনি আমার জায়গা ও ঘর দখলের পায়তারা করেন। বিভিন্ন লোক মুখে শুনতে পারি । তিনি উক্ত জমি নিজের বলে চালিয়ে যাচ্ছেন। আমি প্রথমে জিডি করি পরে আমার এলাকা মুরুব্বিগন মিলে আমার জায়গা উদ্ধার করে দেন।
জায়গা দখলের বিষয়ে জানতে হাজী মজুলুল হকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোনটি বন্ধ থাকায় আলাপ করা সম্ভব হয় নাই।
এ ব্যাপারে বর্তমান চেয়ারম্যান শেখ ছদরুল ইসলাম জানান, লন্ডন প্রবাসী আবুল লেইচ মিয়া জায়গা জোর পূর্বক দখল করে আছে মজলুল হক ও মতিন মিয়া আমরা জানতে পারি। আমি ও আমাদের এলাকার লোকজন মিলে এই জায়গা উদ্ধার করি। বর্তমান এই স্থানে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় আছে।
আজকের নলজুর/ আরএন/১১-০৩-২৫ইং