মোঃ মুকিম উদ্দিন জগন্নাথপুর প্রতিনিধি:-
হাওর বেষ্টিত সুনামগঞ্জ জেলার অবহেলিত জগন্নাথপুর উপজেলা। সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও জগন্নাথপুর উপজেলায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। জেলা ও উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের কলকলিয়া তেলিকোনা চন্ডিডহর প্রধান সড়কসহ উপজেলার একাধিক সড়কের বেহাল দশা।স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতাধীন গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির ভগ্নপ্রায় অবস্থার জন্য চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকার সাধারণ জনগণ।
সরেজমিনে গিয়ে সড়কটির বেহাল দশা দেখা যায়, সড়কটির প্রায় ৪ কিলোমিটার জায়গাজুড়ে বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গর্তগুলোতে বৃষ্টি হলে পানি জমে ধীরে ধীরে আরো বড় আকার ধারণ করে। এছাড়াও কামারখাল থেকে শ্রীধরপাশা পর্যন্ত রাস্তার ৭০০ মিটার কাজ শুরু হলেও দীর্ঘ দিন ধরে কাজে লোকবল কম থাকায় ধীরগতিতে কাজ হচ্ছে। এই রাস্তার বিভিন্ন স্থানে গর্ত থাকায় সেখানে পানি জমে বড় বড় গর্তের আকার ধারন করেছে। এছাড়াও সাদিপুর পয়েন্ট ও সাদিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় সম্পুর্ন সড়কজুড়ে বেশ কয়েকটি বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে ঝুকি নিয়েই স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সাধারণ জনগণ প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছেন। ফলে ছোট বড় দুর্ঘটনাও ঘটে থাকে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন বিষয়টি দেখেও দেখছেন না।
পথচারী আবু সাদেক বলেন, ভাঙাচোরা এ সড়কটির জন্য গত এক দুই বছর ধরে সাধারণ মানুষ অনেক কষ্ট করছে। প্রায় সময়ই সড়কের বড় বড় গর্তে গাড়ি উল্টে যাচ্ছে। কিছুদিন আগে একটি গাড়ি উল্টে গিয়েছিল। তবে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। একাধিক অটোরিকশা (ইজিবাইক) চালক বলেন, রাস্তাটার অবস্থা খুব খারাপ। যাত্রী নিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাওয়া বেশ কঠিন।গর্তে পড়ে গাড়ি প্রায় সময় উল্ট যায়। আমাদের গাড়িরও ক্ষতি হচ্ছে। রাস্তাটা তাড়াতাড়ি মেরামত করা না হলে চলাচল করাই দুরূহ হয়ে যাবে। তাছাড়া এই সড়ক দিয়ে ঝুকি নিয়ে সিলেট, সুনামগঞ্জ, উপজেলা সদরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলাচলা করে থাকে এবং জগন্নাথপুর উপজেলা হাওর বেষ্টিত হওয়ার কারনে বোরো মৌসুমে শতশত ট্রাকও ঝুকি নিয়েই ধান দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যবসায়ীদের কাছে পৌছে দেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন বলেন, কলকলিয়া-তেলিকোনা-চন্ডিডহর সড়কের সাদিপুরে রাস্তা ভাঙার বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে তার পরও আমরা ইটের কংকিট দেওয়ার ব্যবস্থা নিতেছি। তিনি আরও বলেন, কামারখাল থেকে শ্রীধরপাশা পর্যন্ত ৭০০ মিটার রাস্তা মেরামতে সময় নির্ধারন করে দেয়া হয়েছে জুন মাস পর্যন্ত। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে। বর্তমানে লাইটেস সমিতির উদ্যোগে চলাচলের জন্য রাস্তার গর্ত ইটের খোয়া দিয়ে মেরামত কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন লেগুনা চালক।
আজকের নলজুর/আরএন/২৩-এপ্রিল-২৫ইং
সম্পাদকঃ জুবায়ের আহমদ হামজা, বার্তা সম্পাদকঃ বিপ্লব দেবনাথ। অফিস: ব্যারিস্টার মির্জা আব্দুল মতিন মার্কেটে, জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ।
Email:- ajkernaljur@gmail.com Mob:- 01880597469