জগন্নাথপুর প্রতিনিধি:-
সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের কুবাজপুর আহমদাবাদ এলাকার কুবাজপুর গ্রামের মৃত্য শাহ নূর মিয়া চৌধুরীর পুত্র প্রবাসী শাহ সাহাব চৌধুরীর মালিকানা জলমহাল দখলের আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় কুবাজপুর আহমদাবাদে অবস্থিত গোপাইখালী জলমহাল রয়েছে এবং তার পাশে রয়েছে শাহ সাহাব চৌধুরীর মালিকানা রেকর্ডিও জলমহাল। বন্যায় গোপাইখালী জলমাহলটির পাড় ভেঙ্গে শাহ সাহাব চৌধুরীর জলমাহলের সাথে মিশে একত্রিত হয়ে যায়। সর্বমোট জলমহলটিতে ৭ একর ভূমি রয়েছে।
উক্ত ভূমির মধ্যে ৬ একর ভূমির মালিক আহমদাবাদ গ্রামের মৃত শাহ নূর মিয়া চৌধুরীর পুত্র শাহ সাহাব চৌধুরী। বাকী ১ একরের কিছু উরের ভূমির মালিক সরকার। ইদানিং একটি কুচক্রীয় মহল পূর্ব শত্রুতার জেরে গোপাইখালী জলমহলকে পুঁজি করে প্রবাসী শাহ সাহাব চৌধুরীর মালিকানা অংশের জলমহলটি দখলে নেওয়ার পায়তারা করছে। উল্লেখ্য যে শাহ সাহাব চৌধুরীর মালিকানা জলমালটি প্রতিবছর নিজেরাই ফিশিং করে আসছেন। সরকারী অংশ লীজ প্রদানের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে উক্ত জলমহাল ইজারা গ্রহনের জন্য আহমদাবাদ মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি ও কুবাজপুর সূর্যের আলো মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লীজ গ্রহনের আবেদন করেন।
আহমদাবাদ মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি তীরবর্তী হওয়ার কারনে ইজারা পাওয়ার উপযুক্ত বলে প্রাথমিক ভাবে বিবেচিত হয়। তখন আহমদাবাদ মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে অভিযোগ দায়ের করে কুবাজপুর সূর্যের আলো মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি। যার ফলে উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি কুবাজপুর সূর্যের আলো মৎস্যজীবি সমবায় সমিতিকে ১৪৩২- ১৪৩৪ বাংলা সন মেয়াদে ইজারা প্রদান করেন।
কুবাজপুর সূর্যের আলো মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি কতৃর্ক দায়ের করা অভিযোগ মিথ্যা হওয়ার কারণে অভিযোগ দায়েরকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনসহ ইজারা বাতিল করতে গত ১৬ এপ্রিল বুধবার জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আহমদাবাদ মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লি: এর সভাপতি মোঃ আলাল মিয়া। এই ব্যাপারে শাহ সাহাব চৌধুরীর চাচত ভাই ও কেয়ারটেকার আফাজ চৌধুরী দৈনিক দেশ বাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান আমার চাচা মৃত নূর মিয়া চৌধুরীর সহায় সম্পত্তি দীর্ঘদিন যাবত দেখাশোনা সহ রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছি। প্রতি বছর আমি নিজে আমার চাচাতো ভাই শাহ সাহাব চৌধুরীর মালিকানা জলমহলে মাছ আহরণ করে আসছি। যেহেতু অল্প কিছু ভূমি আমাদের জলমহালের সাথে গোপাইখালী নামে সরকারের রয়েছে, তাই সেই ভূমি টুকরো পাওয়ার জন্য মাননীয় হাইকোর্টে আমরা আবেদন দিয়ে রেখেছি । হঠাৎ করে শুনতে পাই গোপাইখালী জলমহলটিকে পুঁজি করে আমার চাচাতো ভাই শাহ সাহাব চৌধুরীর রেকর্ডিও জলমাহলটি দখলে নেওয়ার পায় তারা করছে।
জানতে চাইলে শাহ সাহাব চৌধুরীর ম্যানেজার মোঃ ইউসুফ মিয়া দৈনিক দেশ বাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান আমি দীর্ঘদিন যাবত প্রবাসী শাহ সাহাব চৌধুরী গং দের সম্পত্তি দেখাশোনা করে আসছি। চৌধুরীর রেকর্ডিও মালিকানায় বেশ কয়েকটি ফিশারি আছে তার মধ্যে ৬ একরের একটি জলমাহল রয়েছে যা প্রতিবছর আমি ফিশিং করে মাছ শিকার করে আসছি। এবার আমি শুনতে পাচ্ছি একটি কুচক্রীয় মহল গোপাইখালী জলমাহলকে পুঁজি করে তাদের জলমাহলটি দখলের পায়তারা করছে। রানিগঞ্জ ইউপি সদস্য মোঃ মিলাদ মিয়া এ প্রতিনিধিকে বলেন আমি জানি জলমহলটির অধিকাংশ ভূমি শাহ সাহাব চৌধুরীর রেকর্ডিও মালিকানা রয়েছে এবং অল্প কিছু ভূমির মালিক সরকার।
আজকের নলজুর/আরএন/২০-এপ্রিল-২৫ইং