কবি- আব্দুল মুকিত মুখতার।
আমলাতান্ত্রিক জটিলতা করতে হলে অবসান
হরিপুরের গ্যাসের চুলায় হাড়ি একখান বসান।
বিশালকায় হাড়িতে ঢালুন সুরমা নদীর পানি
সুনামগঞ্জের নাগা মরিছ ও রাতারগুলের হ্যানি।
হ্যানি মানে মধুর সাথে বানিয়াচঙ্গের লেবু রস
মনু গাঙ্গের বালু ঢেলে রান্না করুন তপ্ত জুস।
ছাতকে পাবেন চুনাপাথর ঢেলে দিন তো কিছু
টক ঝাল মিষ্টি দারুণ ফ্লেভার বলছিনা ভাই মিছু
তারপর ঢালুন একটা করে আমলা নামক বেহুশ
চুবানি দিয়ে বলুন, তুমি! হইলে রে আজ মানুষ।
আগে যদি হইতে মানুষ এমন কাম করতে না
ইতিহাস কলঙ্কিত করে সাধের মরা মরতে না।
জালালাবাদ প্রদেশ হতো করতো না বাধা সৃষ্টি
আমলারা শুধু মানুষ হলে উন্নয়নের হতো বৃষ্টি।
উসমানী বন্দর আন্তর্জাতিকের দিতো যদি স্বীকৃতি
সিলেট হতো বাণিজ্য শহর মুছতো দেশে দুর্গতি।
৪৭শে দেশ ভাগের পর যারাই ছিল আমলা
তারা কিন্তু মানুষ ছিল না হয়েছিল শুধু কামলা।
ইস্কন্দর মির্জা বলেছিল, আমলারা দেশের কর্ণধার
বন্দুক উঁচিয়ে দেশ চালাবে, নেতারা হলো চাটুকার।
ঘুস বাণিজ্য খুলে দিল সততার হলো বলিদান
সেদিন থেকে দেশটা হলো বিনা তেলে বিরাণ।
আমলারা সব দেশের মালিক ভোটাররা তো প্রজা
দেশ জনতা কর্মকরে আমলারা খায় মগজ ভাজা।
একাত্তরের বাংলাদেশ এক জাতির এক স্বাধীন দেশ
আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কাটেনি তবু আগের রেশ।
যাহা ছিল আগে তাহা এখনও আছে চলমান
আমলারা সব হয়ে গেল সিন্ডিক্যাটের ভগবান।
হায় ভগবান রক্ষা করো আমজনতার আহাজারি
ছাত্ররা আজ জেগে গেছে চলবে না তো বাহাদুরি।
প্রশ্ন হচ্ছে, ছাত্রজনতা আমলাদেরও সূর্যসন্তান
ঘরের শত্রু বিভিষণ আজ কেমনে পাবে পরিত্রাণ?
আজকের নলজুর/আরএন/১৩-এপ্রিল-২৫ইং