গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি:-
নাটোরের গুরুদাসপুরে মাদরাসা সংশ্লিষ্ট ১২ জন ব্যক্তিকে চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলায় দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে নাটোর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বেলা ১১ টার দিকে সিধুলী চলনালী পোয়ালশুড়া হযরত ওসমান গনি (রা:) ক্বওমি ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা মাঠে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। মাদ্রাসা কমিটির সুত্রে জানা যায়, মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট অস্থায়ী শিধুলী কাঁচা বাজারে মাদ্রাসা ও এতিমখানা পরিচালনার জন্য রশিদের মাধ্যমে দানের টাকা আদায় করা হতো।
এ ঘটনায় মাদ্রাসায় সংশ্লিষ্ট শাহাদৎ হোসেন, মো: জাকারিয়াসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেন আব্দুল আজিজের অনুসারী ছাত্রদল নেতা রুবেল আহমেদ। ১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার সেনা সদস্যরা মাদ্রাসা কমিটির ৮ জনকে থানায় নিলে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে মিথ্যা মামলাটি প্রত্যাহার ও তাদের মুক্তির দাবিতে এলাকাবাসি ফুঁসে উঠেন। বিক্ষোভ,মানবন্ধন, প্রতিবাদসহ বিভিন্ন কর্মসূচি করেন তারা। গ্রেফতার ৮ জনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিসহ মামলা প্রত্যাহার করে মদদ দাতাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়ে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন এলাকাবাসী।
এসময় হযরত আলী, জারজিস হোসেন, মাওলানা ফরিদ উদ্দিন, ফাতেহুল কবির, মাদ্রাসা কমিটির সাধারন সম্পাদক শাহাদৎ হোসেনের স্ত্রী আছিয়া বেগম ও আসাদুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা মাদরাসার উন্নয়নের জন্য শিধুলী কাঁচা বাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় রশিদের মাধ্যমে স্বে”ছায় অর্থ কালেকশন করতেন। সর্বশেষ গত ২৭ রমজান শিধুলী মাদরাসা মাঠে বিএনপি নেতা আঃ আজিজ একটি জানাযা শেষে অফিসে বসে গ্রামের প্রধান হযরত আলীকে বলেন যে, আমার ছোট ছেলে সোহাগ ও তালবাড়িয়া গ্রামের রুবেল আহমেদ নয়া বাজার হাট ইজারা নিয়েছে। ওই হাটটি বেশি টাকায় ইজারা নেওয়ার কারনে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। সেজন্য কাঁচা বাজার থেকে কালেকশনের অর্ধেক টাকা তিনি নয়াবাজার হাট ইজারাদারকে দিতে বলেন। সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিএনপি নেতা আব্দুল আজিজ ছাত্রদল নেতাকে দিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক মাদসারা কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করান। তারা গ্রেফতারকৃত ৮ জনকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।
অভিযোগের বিষয় জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল আজিজ এসব অস্বীকার করে বলেন, তাকে জড়িয়ে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা-ভিত্তিহীন। তার ভাবমুক্তি ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। ওই মাদ্রাসার সভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল মতিনের বড়ভাই আব্দুল মজিদ। ১৫ বছর ধরে তার নেতৃত্বেই এই চাঁদা তোলা হয়। এখনও এ ধারা অব্যাহত আছে।
আজকের নলজুর/আরএন/১৮-এপ্রিল-২৫ইং