কবি-আব্দুল মুকিত মুখতার।
নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই
আজ চৌদ্দ’শ বত্রিশে
স্কুলজীবনের স্মৃতিকথা
বলবো নাকি হরষে।
পহেলা বৈশাখের উৎসব হতো
স্বরূপচন্দ্র হাইস্কুলে
স্মৃতিময় সেই দিনের কথা
যাওয়া যায় কি ভুলে?
আজ এসেছে নববর্ষের
সেই পহেলা বৈশাখ
অর্ধ শতাব্দি পরেও শুনি
সেই আনন্দের হাঁক ডাক।
চৈত্র সংক্রান্তির আনন্দকথা
অনেকটা যাইনি ভুলে
স্মৃতির খাতায় লেখা রয়েছে
দেখলাম পাতা খুলে।
সহপাঠি সব মিলে করতাম
নানান ফুর্তি আমোদ
মনে হলে সে স্মৃতিকথা
মন মানে না প্রবোধ।
রাতে হতো পূজা—পার্বন
দিবসে কত খেলাধূলা
হালখাতার মিষ্টি খাওয়া
যাবে না কখনো ভোলা।
জগন্নাথপুর বাজার ডাকতো
‘যা পারো খাও মিষ্টি’
দল বেধে মিষ্টান্ন খাওয়ার
কী আনন্দময় কৃষ্টি।
বাজারে ঘুরতাম এ—ঘর ও—ঘর
হায় ভোজণের হালখাতা
কোথায় সেসব দরদী মানুষ
স্বজনপ্রীতির দিত বারতা।
নববর্ষের শুভেচ্ছা দিতাম
হ্যান্ডশ্যাক কিম্বা কোলাকুলি
হারিয়ে গেল জীবন থেকে
অতি আনন্দের দিবসগুলি।
সেই সহপাঠি নাইরে পাশে
অনেকে গেছে ভুলে
কেউ তো আজ নিজেই স্মৃতি
ওপার গেছে চলে।
তবুও তাদের স্মৃতির প্রতি
রইল তাজা শুভেচ্ছা ফুল
শুভ নববর্ষ মোদের ঠিকানা
স্বরূপচন্দ্র হাইস্কুল।
আজকের নলজুর/আরএন/১৫-এপ্রিল-২৫ইং