1. admin@ajkernaljur.com : admin :
জমি নিয়ে দ্বন্দে মসজিদে তালা, ৫ দিন ধরে বন্ধ আযান-নামাজ - আজকের নলজুর
২৭শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১৩ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| বর্ষাকাল| শুক্রবার| সকাল ৯:২৪|

জমি নিয়ে দ্বন্দে মসজিদে তালা, ৫ দিন ধরে বন্ধ আযান-নামাজ

রিপোর্টার
  • আপডেটের সময় : বুধবার, মে ৭, ২০২৫,
  • 34 দেখা হয়েছে

মোঃ লাভলু মিয়া, রংপুর:-

রংপুরের পীরগাছা উপজেলার কৈকুড়ী ইউনিয়নের উত্তর কৈকুড়ী কুর্শাপাড়া জামে মসজিদে গত ৫ দিন ধরে কোন আযান ও নামাজ হচ্ছেনা। খোদ মসজিদটির সভাপতি একই সাথে মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালনকারী জিল্লুর রহমান (৬৫) নিজেই মসজিদের গেটে তালা দিয়ে রাখায় স্থানীয় মুসল্লীরা সেখানে নামাজ আদায় করতে পারছেন না। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চরম উদ্বেগ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (২ মে) জুম্মার নামাজের পর জমি-জমা ও মসজিদ পরিচালনাকে কেন্দ্র করে জিল্লুর রহমান ও স্থানীয় ফিরোজ মিয়ার মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে মারামারি বাঁধার উপক্রম হলে জিল্লুর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে সবার সামনেই মসজিদে তালা লাগিয়ে দেন। তখন থেকে পাঁচদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও ওই মসজিদে আযান বা নামাজ আদায় শুরু হয়নি।আরও জানা যায়, জিল্লুর রহমান একাধারে ওই মসজিদের সভাপতি, মোতওয়াল্লি, মুয়াজ্জিন ও ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব একাই পালন করছেন। ফিরোজ মিয়া নামে জানান, প্রায় ৬০ বছর আগে মরহুম ইয়াসিন ব্যাপারী ওই গ্রামে একটি ওয়াক্তিয়া নামাজ ঘর নির্মাণ করেন। যা পরবর্তীতে স্থানীয় মুসল্লিদের অনুরোধে উত্তর কৈকুড়ী কুর্শাপাড়া জামে মসজিদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠের জন্য ৯ শতক জমিও ওয়াকফ করা হয়।

তিনি বলেন, জিল্লুর রহমান প্রভাব খাটিয়ে সম্প্রতি নিজেকে মুয়াজ্জিন হিসেবে নিয়োগ নিয়ে মসজিদটিকে ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে পরিণত করার চেষ্টা করছেন। গ্রামের মানুষ যাতে মসজিদে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য মসজিদের মূল ফটক দেওয়াল দিয়ে আটকে দিয়েছেন।অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জিল্লুর রহমান বলেন, আমার পরিবার মসজিদের জমি দান করেছে ও অবকাঠামো তৈরি করেছে। বিদ্যুৎ বিলসহ যাবতীয় খরচ আমরাই বহন করছি। ফিরোজ মিয়া ও তার পরিবার এই সমাজের কেউ নয়। তালা লাগানোর পর এখন পুলিশ, নেতা, সাংবাদিক সবাই আসছে।এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুর আলম বলেন, গত শুক্রবার বাদ জুমা আমি উভয় গ্রুপকে নিয়ে বসছিলাম। সে সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে মারামারির উপক্রম হওয়ায় তালা লাগিয়ে দিয়েছে। প্রশাসন ইচ্ছা করলে যে কোনো সময় তালা খুলতে পারে। রংপুর জেলা পুলিশ সুপার আবু সায়েম বলেন, অভিযোগ পেলে তালা খোলার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজকের নলজুর/আরএন/০৭-মে-২৫ইং

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরণের আরো খবর
© All rights reserved © 2023 আজকের নলজুর
Design and developed By: Syl Service BD