কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:-
কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবে যৌন কাজে বাধা দেওয়ায় এক কলেজ শিক্ষার্থীকে হত্যাকান্ডের ঘটনায় দীর্ঘ ১৭ বছর পর মামলার রায় দিয়েছে আদালত। এতে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক ফাতেমা আক্তার স্বর্ণা।
২০ মে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে এক আসামির উপস্থিতিতে এ আদেশ দেওয়া হয় বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি (এপিপি) শফিউজ্জামান। মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন ভৈরব উপজেলার ভৈরবপুর উত্তরপাড়া গ্রামের মো. সুমন মিয়া (৩৯), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দৌলতদিয়া গ্রামের সেলিনা বেগম (৪১) ও আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর গ্রামের শোভা প্রকাশ (৪৭)। চাঞ্চল্যকর রায়টি ঘোষণার সময় সুমন ও শোভা প্রকাশ পলাতক ছিলেন।
জানা যায়, নিহত মোহাম্মদ আলী (২২) ভৈরব হাজী আসমত কলেজের বিএসসি প্রথম বর্ষের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার তারাকান্দি মধ্যপাড়া এলাকার মো. সামছুদ্দিন মিয়ার ছেলে সে। এপিপি শফিউজ্জামান বলেন, ২০০৮ সালের ৬ জানুয়ারি রাতে মোহাম্মদ আলীকে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। ঘটনার পরদিন নিহতের বাবা শামছুদ্দিন ভৈরব থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করা হয়।
তিনি আরো বলেন, “ ২০০৮ সালের ৩০ মে ভৈরব থানার তৎকালীন উপ পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আজিজ চারজনকে আসামি করে আদালতে একটি অভিযোগপত্র জমা দেন। মামলাটি তদন্তকালেই গ্রেপ্তারকৃত সুমন মিয়া ও মহরম আলী ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। তবে মামলা চলাকালে মহরম আলী মারা যান। জানা যায়, যৌন কাজে বাধা দেওয়ায় কলেজ ছাত্রকে হত্যা করা হয়েছিল।
আজকের নলজুর/আরএন/২০-মে-২৫ইং