ধর্মপাশা প্রতিনিধি:-
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় শিক্ষার্থীর লাশ সামনে রেখে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্টিত হয়। শনিবার সকাল ১১টায় উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের মুহাদরপুর গ্রামে মিজানুরের মামা আবুল হোসেন সংবাদ সম্মেলন করেন। কলেজ ছাত্র মিজানুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তার পরিবার। আবুল হোসেন লিখিত বক্তব্যে বলেন, মিজানুরের আরেক মামা নূরুল ইসলামের মেয়ে সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
বিষয়টি মেয়ের বাবা মা জানতে পেরে গত ১৯ মে মিজানুরকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে মারধর করে। পরে মিজানুর ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়। এর দুইদিন পর মিজানুর রহমানকে আসামি করে নূরুল ইসলাম ধর্মপাশা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। আর বিষয়টি মিমাংসা করে দেওয়ার জন্য মুদাহরপুর গ্রামের নূরুল ইসলাম, মেয়ের মামা দুলাল মিয়া সহ কয়েক জন ভয়ভীতি দেখিয়ে মিজানুরের পরিবারের কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করে।
এ বিষয় আর অপমান সইতে না পেরে গত বৃহস্পতিবার রাতে মিজানুর কাউকে না বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। পরে শুক্রবার সকালে নূরুল ইসলামের ঘরের বারান্দা থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আমাদের ধারনা মিজানুরকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মেয়ের বাড়িতে ডেকে নেয় এবং মারধর করে মিজানুরকে হত্যা করে মেয়ের মায়ের শাড়ি দিয়ে মিজানুরকে ঝুলিয়ে রাখে। পরে তা আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হয়। পরে মিজানুরের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় হত্যা মামলা করতে চাইলে ধর্মপাশা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আলী ফরিদ আহমেদ ও ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ এনামুল হক মামলা নেয়নি।
এদিকে ময়নাতদন্তের পর শনিবার সংবাদ সম্মেলনের মিজানুরের লাশ তার নিজ গ্রামে দাফন করা হয়। আর লাশ উদ্ধার করার সময় মিজানুরের চিরকুট পাওয়া গেছে। যাতে তার মৃত্যুর জন্য জুলফিকার আলী ভুট্রো, নূরুল ইসলাম, বিউটি আক্তারসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ রয়েছে। তবে অভিযুক্ত জুলফিকার আলী ভূট্টো বলেন, আমি কোনো টাকা দাবি করিনি। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়। প্রতিহিংসাবশত আমার নাম জড়ানো হচ্ছে। ধর্মপাশা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আলী ফরিদ আহমেদ বলেন, এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। এক বিষয়ে দুটি মামলা হয়না। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে হত্যা প্রমাণিত হলে মামলা নেওয়া হবে।
আজকের নলজুর/আরএন/২৪-মে-২৫ইং