নিজস্ব প্রতিবেদক:-
বাংলাদেশের গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা এবং রাজধানী ঢাকা—এই দুই জায়গার সাধারণ মানুষ বছরের পর বছর আতঙ্কে ছিল একজনের কারণে। তার নাম আরিফ মিয়া। বয়স আনুমানিক ৪০ বছর। বাবার নাম মনসুর আলী। স্থায়ী ঠিকানা-উলুরখোলা, কালীগঞ্জ, গাজীপুর। যুবলীগ নেতা পরিচয়ে আরিফ মিয়া কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের যুবলীগ সভাপতির পদে থেকে রাজনীতির ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি এবং রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছিল। শুধু কালীগঞ্জ নয়, রাজধানীর বাড্ডা, ভাটারা, উত্তরা ও আদাবর এলাকাতেও গড়ে তোলে ত্রাসের রাজত্ব।
স্থানীয় সাধারণ মানুষ তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ। অভিযোগ রয়েছে, আরিফ মিয়া রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর হুমকি, মারধর, হত্যা, চাঁদাবাজি এবং রাতারাতি কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক বনে যায়। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় রয়েছে একাধিক মামলা,যা এখনো চলমান ও তদন্তাধীনঃ ১) কালীগঞ্জ থানার মামলা নং- ৪, তারিখ: ২১ আগস্ট ২০২৪, সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় জামিনপ্রাপ্ত। ২) আদাবর থানার মামলা নং- ১৯, তারিখ: ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ধারা: ১০৯/ ১১৪/ ১৪৮/ ১৪৯/ ১৫৩/ ৩০২/ ৩৪ দণ্ডবিধি। ৩) ভাটারা থানার মামলা নং- ৪০, তারিখ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ধারা: ১৪৭/ ১৪৮/১৪৯/৩০২/৩৪ দণ্ডবিধি। ৪) বাড্ডা থানার মামলা নং- ১১, তারিখ: ১০ অক্টোবর ২০২৪, ধারা: ১৪৩/১৪৮/১৪৯/৩০৭/৩২৬ দণ্ডবিধি। ৫) বাড্ডা থানার মামলা নং- ১৩, তারিখ: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ধারা: ১৪৩/১৪৮/১৪৯/৩০৭/৩২৬ দণ্ডবিধি।
পলাতক অবস্থায়ও আরিফ মিয়া রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড, আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটানোর পরিকল্পনা এবং ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে। তার দাপটে কালীগঞ্জ, নাগরী, তুমুলিয়া, বিরাপুর, বাড্ডা, ভাটারা, উত্তরা ও আদাবর এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে তীব্র আতঙ্ক বিরাজ করছিল। দীর্ঘদিন ধরেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। অবশেষে, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অভিযানে আগারগাঁও এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আজকের নলজুর/আরএন/২৩-জুন-২৫ইং