1. admin@ajkernaljur.com : admin :
জগন্নাথপুরে আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে কুশিয়ারা নদী থেকে বালু উত্তোলনের মহোৎসব - আজকের নলজুর
২৭শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১৩ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| বর্ষাকাল| শুক্রবার| রাত ২:৫৯|

জগন্নাথপুরে আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে কুশিয়ারা নদী থেকে বালু উত্তোলনের মহোৎসব

রিপোর্টার
  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, জানুয়ারি ২৮, ২০২৫,
  • 57 দেখা হয়েছে

জগন্নাথপুর বিশেষ প্রতিনিধি:-

সরকার পরিবর্তনের হলেও এখনো দাপুটে সাথে বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সভাপতি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছেন। এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। গত কয়েক পূর্বে একটি জাতিয় পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, ৭ বছর ধরে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের বাগময়না গ্রামের ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানু মিয়া বালু উত্তোলন করে আসছেন। গত ৫আগষ্ট এর পর সরকার পরিবর্তন হলে জগন্নাথপুর উপজেলা যুবদলের নেতাকে নিয়ে বাগময়না গ্রাম রক্ষা প্রকল্পের অবৈধভাবে বালু তুলে লক্ষ লক্ষ ফুট বালু বিক্রয় করে আসছে।

এই অবৈধভাবে বালু তুলায় সরকার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। পাশা পাশি স্থানীয় লোকদের টাকার মাধ্যমে মুখ বন্ধ করে তাদের এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এই সিন্ডিকেটে মধ্যে শেরপুরের ইমরান মিয়া ও ফেচী গ্রামে জিতু মিয়া রয়েছেন। বৈধ বালুমহাল থেকে বালু তোলার পাশাপাশি আইন লঙ্ঘন করে তাঁরা ইজারা এলাকার বাইরে থেকে বালু তোলেন। গত ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতারা লুটপাটে ভাগ বসিয়েছেন। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে আদর্শিক বিভেদ থাকলেও বালু লুটপাটে তাঁরা মিলেমিশে একাকার। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুযায়ী সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারেজ, বাঁধসহ যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকা হতে সর্বনিম্ন এক কিলোমিটারের মধ্যে থেকে বালু উত্তোলন করা যাবে না।

খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, জগন্নাথপুরের নারিকেলতলা গ্রামে কৃষি ইনস্টিটিউট এর মাঠ ভরাটের জন্য বালু উত্তোলন করতে সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রীর ভাগনা জাবেদ মিয়া সহ তাদের এই গ্রুপ বালু উত্তোলন শুরু করে। তাদের এই মেয়াদের মধ্যে কৃষি ইনস্টিটিউট বালু দেওয়া পাশা পাশি বাগময়না গ্রামের গ্রাম রক্ষা প্রকল্পে ও জনসাধারনের মধ্যে বালু বিক্রয় করে আসছে। এই নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে স্থানীয় দলীয় নেতাদের ম্যানেজ করে তাদের এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

বাগময়না গ্রাম রক্ষা প্রকল্পে দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার স্বপন হাজীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি গ্রাম রক্ষা প্রকল্পে জন্য আওয়ামী লীগের সভাপতি বালু দিবেন বলে ১লক্ষ টাকা নিয়েছেন। শেরপুরের ইমরান মিয়া ও ফেচী গ্রামের জিতু মিয়ার কাছ থেকে বালু ক্রয় করেছি। এখন তারা বালু দিচ্ছে না।
এ ব্যাপারে জানতে শেরপুরের ইমরান মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ২০ দিন আগে বাগময়না গ্রামের গ্রাম রক্ষা প্রকল্পে বালু দিয়েছি। এখন আর বালু দিচ্ছি না, আমাদের বালু তুলার কাজ বন্ধ রয়েছে। অবৈধ বালু দেই নাই। তিনি অস্বীকার করে মুঠোফোনটি কেটে দেন।

এ ব্যাপারে জানতে জিতু মিয়ার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বাগময়না গ্রামের গ্রাম রক্ষা প্রকল্পে আমি বালু দিয়েছিলাম এখন আর সেখানে বালু দিচ্ছি না। বৈধ ও অবৈধ আমি বুজিনা। আমি অবৈধ বালু বিক্রয় করি নাই। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানু মিয়া বলেন, আমি কোন বালু বিক্রয় করি নাই। রানীগঞ্জ দক্ষিণ পাড়ে বালু দেই নাই। আমার সাথে বিএনপি কোন নেতা জড়িত নায়। আমিও এর সাথে জড়িত নায়। প্রমাণ পেলে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন।

উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক জামাল উদ্দিন বলেন, আমাদের উপজেলা বিএনপি একমত বালু তুলার ব্যাপারে বিএনপির কেউ জড়িত নায়। যদি জড়িত থাকে প্রমাণ দিতে পারেন, তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিব। আমাদের নেতা কয়ছর আহমদের নির্দেশ আমাদের নেতা কর্মী কোন অবৈধ কাজে জড়িত থাকতাম না ও জড়িত হওয়া সুযোগ নাই। উপজেলা বিএনপি সাবেক সভাপতি আবু হোরায়ার সাদ মাষ্টারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এই ব্যাপারে আমার জানাই, আমি লোক মুখে শুনেছি, এ কাজ গুলো যদি আমার দলের কেউ করে থাকেন, আমরা দলীয় ভাবে ব্যবস্থা নিব।

আজকের নলজুর/আরএন/২৮-০১-২৫ইং

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরণের আরো খবর
© All rights reserved © 2023 আজকের নলজুর
Design and developed By: Syl Service BD