সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:-
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ভান্ডা বিলের মাছ গণহারে লুট করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে এ মাছ লুটের ঘটনা ঘটে। জলমহালের প্রায় কোটি টাকার মাছ লুটে নিয়ে যায় মাছ লুটেরারা। ইজারাদারদের অভিযোগ জলমহালের আশপাশের অন্তত ৫-৭টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ আনন্দ-উল্লাসে বিলের মাছ লুট করে নিচ্ছে। এছাড়াও মাছ লুটে জড়িত রয়েছে দিরাই উপজেলার সাদিরপুর, রফিনগর, মাছিমপুর, মির্জাপুর, সেচনি, হোনাকানি, আটগাওসহ আশপাশের গ্রামের লোকজন।
তারা জানান সেনাবাহিনী ও পুলিশকে জানিয়েও কিছুতেই বন্ধ করা যাচ্ছে না মাছ লুট। কয়েক হাজার মানুষ একসাথে জড়ো হওয়ায় তাদের প্রতিহত করা সম্ভব হচ্ছে না। এভাবে গত এক সপ্তাহে দিরাই, শাল্লা ও জামালগঞ্জ উপজেলার প্রায় ১০-১২টি জলমহালের মাছ লুট করা হয়েছে। প্রতিদিনই এভাবে মাছ লুটের ঘটনায় আতঙ্কে আছেন ইজারাদার ও সংশ্লিষ্টরা। মাছ লুটের কারনে আর্থিবভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন ইজারাদাররা।
জামালগঞ্জ উপজেলার ভান্ডা বিলের মৎস্যজীবী আবুল কালাম বলেন, ভোর রাত থেকে বিলে মাছ লুটের মহোৎসব চলছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে বিষয়টা জানালেও লোক সংখ্যা বেশি হওয়ায় তাদের প্রতিহত করা যাচ্ছে না। এতে আমাদের রুটি-রুজিতে ধ্বস নেমেছে। ছেলে মেয়ে নিয়ে কিভাবে খেয়ে পড়ে বাচব সেই দুশ্চিন্তায় আছি।
জলমহালের ইজারাদার রফিক মিয়া জানান, পূর্ব থেকে মাইকে ঘোষনা দিয়ে মাছ লুটেরা বিলের মাছ লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। কোনকিছুতেই তাদের আটকানো সম্ভব হচ্ছে না। এতে আমাদের মারাত্মক আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। প্রতিনিয়ত এ মাছ লুটের ঘটনা রোধে প্রশাসনকে আরো জোরালো ও কঠোর ভূমিকা রাখার দাবী জানাই।
এ বিষয়ে জামালগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, কিছু লোক ভান্ডা বিলে মাছ আহরনে নামে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা উঠে যায়। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে তারা আর অগ্রসর হতে পারে নি।
আজকের নলজুর/আরএন/০৬-০৩-২৫ইং