1. admin@ajkernaljur.com : admin :
মুরাদনগরে ব্যস্ততা বেড়েছে দর্জিদের, দম ফেলার ফুসরত নেই - আজকের নলজুর
২৭শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১৩ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| বর্ষাকাল| শুক্রবার| সকাল ১০:৫৯|

মুরাদনগরে ব্যস্ততা বেড়েছে দর্জিদের, দম ফেলার ফুসরত নেই

রিপোর্টার
  • আপডেটের সময় : রবিবার, মার্চ ২৩, ২০২৫,
  • 45 দেখা হয়েছে

সফিকুল ইসলাম, মুরাদনগর (কুমিল্লা)প্রতিনিধিঃ-

রোজার শুরুতে কাজের চাপ কম থাকলেও ১৫ রোজার পর থেকে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পোশাক তৈরির কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে। দিনরাত সমান তালে কাজ করছেন কারিগররা। যেন তাদের দম ফেলার ফুসরত নেই। এদিকে নিজের পছন্দ মতো পোশাক তৈরি করে নিতে টেইলার্সগুলোতে ভিড় করছেন নারী ও পুরুষরা।

উপজেলার বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে, দিন রাত কাজ করছেন দর্জিরা। ছোট বড় টেইলার্সে যেনও দম নেওয়ার সময় নেই। সেলাই মেশিনের শব্দে চারদিক মুখরিত হয়ে উঠেছে। এর মধ্যেই নেওয়া হচ্ছে নতুন পোশাকের অর্ডার। একই সঙ্গে চলছে মাপ অনুযায়ী কাপড় কাটার কাজও। দর্জির দোকানিরা জানান, এখন ব্যস্ততাটা বেশিই দম ফেলার সময় নেই। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। তারা আরও জানান, পরিশ্রম একটু বেশি হচ্ছে, তবুও তারা খুশি। কারণ, ঈদের মৌসুমে বাড়তি কাজের অর্ডার হয়। এতে বাড়তি আয়ও হচ্ছে।

ক্রেতারা জানান, রমজানের ১৫দিন পেরিয়ে গেলো। হাতে আর তেমন সময় নেই। যারা তৈরি পোশাক পড়তে পছন্দ করেন না বা নিজের পছন্দমতো মাপে ও ডিজাইনে পড়তে অভ্যস্ত, তারা এখন ভিড় করছেন দর্জির দোকানগুলোতে। তাই মুরাদনগর বাজারের বিভিন্ন দর্জির দোকানে এখন ব্যস্ততা বেশি। বাজারে সেলাই করতে আসা শিক্ষিকা সুমি আক্তার বলেন, ‘এই সময়ে টেইলার্সগুলোতে খুব ভিড় থাকে। যার কারণে খানিকটা আগে ভাগেই পছন্দের পোশাক সেলাই করতে দিয়ে গেছিলাম। এখন নিতে এসেছি। অপর ক্রেতা আলামিন সরকার বলেন, ‘টেইলার্সে এসেছি পাঞ্জাবি পায়জামা বানাতে দেওয়ার জন্য। বাজার থেকে তৈরি করা পোশাক কিনলে সেগুলো শরীরে ঠিকমতো ফিটিং হয় না। টেইলার্সে বানালে ফিটিং ঠিকমতো হয়, মন মতো ডিজাইন নিতে পারি।

উপজেলা সদরের নিউ মার্কেটের ডায়মন্ড টেইলার্সের মালিক ইয়ামিন বলেন, ‘রোজার শুরুতে কাজের চাপ কম থাকলেও এখন কাজ একটু বেশি। কারিগরদেরকে অনেক রাত পর্যন্ত কাজ করতে হয়। কয়েকদিন পর থেকে অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দিতে হবে। পোশাক তৈরীর মজুরি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, প্যান্ট ৪৫০টাকা, শার্ট ৩৫০টাকা, পায়জামা ২০০টাকা, মেয়েদের পোশাক সেলাই ৩০০-৫০০টাকা নিয়ে থাকেন।

আজকের নলজুর/আরএন/২৩-০৩-২৫ইং

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরণের আরো খবর
© All rights reserved © 2023 আজকের নলজুর
Design and developed By: Syl Service BD