মোঃ এনামুল হক(বিপ্লব),কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ-
কুড়িগ্রাম-২ আসনে (সদর, রাজারহাট, ফুলবাড়ী) জাতীয় পার্টির প্রার্থীর সাথে আওয়ামী লীগের সতন্ত্র প্রার্থীর হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এ আসনে জোটগত কারণে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ জাফর আলীর মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় নৌকার প্রার্থী থাকছেনা।
বিগত নির্বাচনগুলোতে জোটের একক প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির প্রার্থী থাকায় নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া অনেকটা সহজ হলেও এবার তেমনটা হবেনা বলেই মনে করেন কুড়িগ্রামের রাজনীতি-সচেতন মহল।
জোট-মহাজোটের খেলায় কুড়িগ্রামে বরাবরই বঞ্চিত কুড়িগ্রামের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি মোঃ জাফর আলী। এবং আওয়ামী লীগের মনোনয়নও পান।
আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকরা অনেকটাই নিশ্চিত ছিলেন এবার শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে কুড়িগ্রাম-২ আসনে নির্বাচনে অংশ নিবেন জাফর আলী। শেষ পর্যন্ত লাঙ্গল কে আসন ছেড়ে দিয়ে প্রত্যার করা হয় নৌকা। দলের প্রার্থী না হতাশ তিন উপজেলার আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকেরা। ভোটের বাক্সে এর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
কুড়িগ্রাম-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন ফুলবাড়ী উপজেলার সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডাঃ হামিদুল হক খন্দকার। দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তিনি। পেশাগত জীবনে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (পঙ্গু হাসপাতাল) এর সাবেক পরিচালক সহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক দায়িত্ব পালন করেছেন।
কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি অধ্যাপক হামিদুল হককে সমর্থন জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। পাশাপাশি নৌকা না থাকায় ক্ষুব্ধ সাধারণ কর্মী সমর্থকরাও তাঁর পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমর্থন জানাচ্ছেন। ধারণা করা হচ্ছে লাঙ্গল ও ট্রাকের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখতে যাচ্ছে কুড়িগ্রাম-২ আসনের মানুষ।
আজকের নলজুর/২৪ডিসেম্বর২৩/আরএন