মো: মুনজুর রহমান, রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:-
রাজশাহীর দূর্গাপুর উপজেলায় একটি মামলার বাদী ন্যায় বিচারের জন্য ঘুরছে দ্বারে দ্বারে। মামলার নালীশী আরজী ও ঘটনা সুত্রে জানা যায়, গত ২২/৯/২০২৩ ইং তারিখে দূর্গাপুর উপজেলার মহিপাড়া গ্রামের মো: রুবেল এর স্ত্রী কুলসুম বেগম একই গ্রামের প্রতিবেশী আবুল কাশেমের ছেলে মোঃ সোহাগ (৩২) এর বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনাল রাজশাহী ২ নং আদালতে মামলা নং ১৩৫ সি/২০২৩ ধারা-২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ৯(৪) (খ) একটি নালিশী মামলা দায়ের করে।
বাদিনীর অভিযোগ সুত্রে জানা যায় দীর্ঘ দিন থেকে প্রতিবেশী আবুল কাশেমের ছেলে মোঃ সোহাগ সুজোগ পেলেই ভিকটিম কুলসুম কে অসামাজিক কার্য্য করার জন্য কু – প্রস্তাব দিয়ে আসিতেছিলো। ভিকটিম কুলসুম আসামী সোহাগ এর ভয়ে ঘর হইতে বাহির হয়তে পারিতো না ।
গত ১০/৯/২০২৩ বাদীনীর স্বামী বাড়ীতে না থাকার সুযোগে আসামী গোপনে বাদীনীর শয়ন ঘরে প্রবেশ করে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে, বাদীনীর চিৎকারে স্বাক্ষী গন ঘটনা স্থলে আসিলে আসামী পালিয়ে যায়।
বাদীনীর নালিশী অভিযোগ পেয়ে রাজশাহী জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল (২) এর বিচারক এই অভিযোগ টি তদন্তের জন্য দূর্গাপুর উপজেলার আনসার ভিডিপির (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা মোছাঃ মর্জিনা বেগমের নিকট প্রেরণ করে, যাহার স্বারক নং- ৯৮৪/২৩ ইং তারিখ ২৪/৯/২০২৩।
উক্ত মামলা দায়ের করার পর থেকে আসামী সোহাগ সহ ও তার পরিবার বাদীনী কে মামলা প্রত্যাহার ও সাক্ষী গন কে স্বাক্ষ্য না দেওয়ার জন্য ভয় ভীতী ও প্রাননাশের হুমকি দিয়ে আসিতেছিল। প্রাননাশের হুমকি পেয়ে বাদীনী গত ১০/১০/২০২৩ ইং তারিখে ৪ জন কে বিবাদী করে দূর্গাপুর থানায় একটি জিডি দায়ের করে যাহার নং- ১১০৬/২০২৩।
আসামীর নিকট হতে বিভিন্ন হুমকী পেয়ে মামলার স্বাক্ষী নং ৫ মোঃ মিজান ও ৬নং সাক্ষী মোঃ শরিফুল তদন্ত কর্মকর্তার নিকট ঘটনা জানেনা বলে সাক্ষ্য দেয় এবং (৩ ও ৪) নং সাক্ষী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাক্ষী দেওয়ার পরেও, মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা প্রভাবশালী আসামীর কাছে প্রভাবিত হয়ে মামলার তদন্ত রিপোর্ট আসামীর পক্ষে দেয়।
বাদীনী অভিযোগ করেন তদন্ত চলা কালীন সময়ে আসামী দ্বারা সাক্ষী দের হুমকী দিলে বিষয় টি তদন্ত কর্মকর্তা কে জানালে তিনি বিষয় টি কোন প্রকার কর্নপাত করেননি । এবং পরবর্তীতে তদন্ত চলাকলীন সময়ে আসামী সোহাগ বাদী হয়ে বাদীনী ও সাক্ষী দের বিরুদ্ধে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (২) রাজশাহীর আদালতে ৭৬৭ পি /২০২৩ ইং ধারা ১০৭ ফৌজদারি কার্যবিধি দায়ের করেন।
বাদীনী কুলসুম এর দাবী তদন্ত রিপোর্ট আসামী সোহাগ সাক্ষী দের ভয়ভীতি ও তদন্ত কর্মকর্তার সাথে যোগসাজোগ করে আসামীর পক্ষে নেওয়ার ফলে আদালত হতে সে ন্যায় বিচার হতে বঞ্চিত হয়েছে। তার মামলার ৫ জন সাক্ষী দের মধ্যে ২জন আসামীর ভয়ে ঘটনার সাক্ষ্য সঠিক না দিলেও ৩ জন সাক্ষী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করার পরেও কিভাবে তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত রিপোর্ট আসামীর পক্ষে দেয়।
সে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার ন্যায় বিচার পাওয়া ও আসামীদের বিচারের জন্য লড়াই করে যাবে। এই বিষয়ে খবর নেওয়ার জন্য বাংলা ভয়েস থেকে তদন্ত কর্মকর্তা মর্জিনা বেগমের নিকট ফোন দিলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
আজকের নলজুর/২৫জানুয়ারি২৪/বিডিএন