মোঃ মুকিম উদ্দিন, জগন্নাথপুর(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধি:-
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার জগন্নাথপুর সদর থেকে ইকড়ছই, যাত্রাপাশা হয়ে চিলাউড়া বাজার পর্যন্ত সড়কটি সংস্কারের অভাবে বেহাল হয়ে পড়েছে। সড়কের বিভিন্ন অংশে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত আর খানাখন্দে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। যাত্রী ও গাড়িচালকদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার প্রধান কয়েকটি সড়কের মধ্যে চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের একটি অন্যতম সংযোগ সড়ক। সড়কের প্রায় অংশের অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয় হওয়া সত্ত্বেও প্রতিনিয়ত ইউনিয়নের কবিরপুর, যাত্রাপাশা, বলবল, বৈঠাখালী হয়ে জগন্নাথপুর উপজেলায় ভ্যান, অটোরিকশা, মাইক্রোতে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। এরই মধ্যে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বিভিন্ন অংশে পানি জমে গেছে। পানির নিচের খানাখন্দ দেখতে না পাওয়ায় গাড়ি চলাচলে ঘটছে দুর্ঘটনা। বাড়ছে যানবাহনের ক্ষতি। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সড়ক জুড়ে বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দ বেড়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগীরা জানান, এ সড়কটি নির্মাণে নিম্নমানের কাজ করা হয়েছিল। এছাড়াও এই রাস্তা দিয়ে ট্রাক ও ট্রাক্টরে করে ভারী মালামাল বহন করায় সড়কের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে তৈরি হয়েছে অসংখ্য গর্ত। রাস্তাটি প্রশস্ত করে সংস্কার না করলে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাধীন রাস্তাটি কাজে আসবে না। বিভিন্ন স্কুল কলেজ পড়ুয়া শত শত শিক্ষার্থী এ ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। এছাড়াও চিলাউড়া হলদিপুর ভুরাখালীসহ অন্যান্য গ্রামের শিক্ষার্থীরাও খানাখন্দে ভরপুর এই রাস্তায় ঝুঁকি নিয়ে ভ্যানে ও সাইকেল করে স্কুল কলেজে যাতায়াত করে থাকেন। হাসপাতালেও রোগীদের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়।
(উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু নাসের সরকার বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি, এই রাস্তার কাজ হবে বলে আশ্বাস দিলেও হয়নি সংস্কার ও প্রশস্তের কাজ। এতে ভোগান্তির শিকার শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের একাদিক লোকজন বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক সংস্কারে কোন অগ্রগতি না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে স্থানীয়রা। এছাড়াও রাস্তাটি দিয়ে ইট বালু বোঝাই অবৈধ মাহেন্দ্রা, ট্রলি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত যাতায়াত করায় আরও নাজুক হয়ে পড়েছে। এই রাস্তা সংস্কারে দ্রুত কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি দরকার।
চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সাহিদুল ইসলাম বকুল বলেন, এই রাস্তাটি প্রসস্ত ও সংস্কার করার জন্য উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে আলাপ হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন বলেন, ‘এই সড়কটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এখনও কোন সিদ্ধান্ত আসেনি।
আজকের নলজুর/০৩মার্চ২৪/বিডিএন