মোঃ মুকিম উদ্দিন জগন্নাথপুর(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধি:-

ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে হাজার মাসের চেয়েও উত্তম পবিত্র লাইলাতুল কদরে বিভিন্ন ইবাদত করছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধির দোয়ার পাশাপাশি দাবদাহ থেকে মুক্তি চান তারা। এই রাতে আল্লাহর কাছে ইবাদতের মাধ্যমে বিশেষভাবে ক্ষমা আদদচাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ইসলামি চিন্তাবিদরা।

শনিবার (এপ্রিল) মাগরিব নামাজের পরপরই মসজিদে মসজিদে কদরের রাতের গুরুত্ব তুলে ধরে আলোচনা, কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়ার আয়োজন করা হয়। এশার জামাতে অংশ নেন কাছের ও দূর থেকে আসা মুসল্লিরা। নামাজ শেষে তারা পরিবার, দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা ও তীব্র দাবদাহ থেকে স্বস্তির দোয়া করেন।

২৬ রমজান দিনগত রাতটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এ রাতে মানবজাতির ভাগ্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। মুসলমানদের কাছে রাতটি পূণ্যময় ও মহিমান্বিত। যদিও ২০ রমজানের পর যে কোনো বিজোড় রাতে শবে কদর হতে পারে। তবে ২৬ রমজান দিনগত রাতেই লাইলাতুল কদর আসে বলে বেশিভাগ আলেমদের অভিমত। বাংলাদেশে এ রাতটিকে শবে কদরের রাত হিসেবে পালন করেন মুসলমানরা। তবে অন্যান্য বিজোড় রাতেও ইবাদত-বন্দেগি করেন মুসলমানরা।

এদিকে, শবে কদর উপলক্ষে জগন্নাথপুরের সকল মসজিদসহ সারাদেশে মাগরিবের নামাজের পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কোরআন-হাদিস থেকে আলোচনা,দোয়া মাহফিল,পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, হামদ-নাতসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সন্ধ্যার পরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মসজিদেও এমন আয়োজন দেখা গেছে। বিশেষ করে এশার ওয়াক্ত থেকে মসজিদে খতম তারাবিহ এবং এর শেষে দোয়া মাহফিলে অংশ নিতে মসজিদে এসেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

——জামে মসজিদে জোহরের নামাজের পর শবে কদরের ফজিলত ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা এবং দোয়া মাহফিল হয়েছে। এরপর সারারাত ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন মুসল্লিরা। ফজরের নামাজের পর বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত হয়।

আজকের নলজুর/০৭এপ্রিল২৪/বিডিএন