স্মৃতির আয়নাঃ
মির্জা জুয়েল আমিন (লন্ডন থেকে):-
সাহায্যকারী কখনো ঠকে না, হিংসা কারী কখনো জিতে না, ভালো কাজ কর ভালো ফল পাবে, সৎ কাজের চিন্তাধারায় বিশ্বাসী মানুষ গড়ার কারিগর সিনিয়র বিজ্ঞ আইনজীবী একসময়ের স্বরূপ চন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
আমরা যার নেতৃত্বের ৯০ দশকের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন তথা তৎকালীন ছাত্র রাজনীতির অভিভাবক জগন্নাথপুর উপজেলা বিএনপির সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক বর্তমান জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি। সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি।
আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক, যিনি এখনো শিক্ষকই রয়ে গেছেন এখনো আমাদের সাথে শাসনের সুরে কথা বলেন, বলেছিলাম আমাদের সবার শ্রদ্ধার পাত্র এডভোকেট মল্লিক মইনুদ্দিন সোহেল স্যারের কথা।
ভদ্রতা একাগ্রতা সাংগঠনিক দক্ষতা স্নেহ মমতা ভালবাসা দিয়ে আমাদেরকে আগলে রেখেছিলেন দীর্ঘকাল সেই সোনালী দিনগুলির কথা এখনো চোখের সামনে ভাসে। কথাবার্তায় চলাফেরায় একটু এদিক সেদিক হলেই ধমক দিয়ে এগুলো শুধরে দিতেন। এরকম গুণী মানুষ আমরা পেয়েছিলাম রাজনীতির মাঠে। আমাদের মুরুব্বীদের কাছ থেকে শুনেছি উনার বাবাও খুব সম্মানী মানুষ ছিলেন কাজী সাহেব।
আমাদের জগন্নাথপুর এর ঐতিহ্যবাহী গ্রাম সৈয়দপুরের মল্লিক পাড়ার সন্তান মল্লিক এডভোকেট মঈন উদ্দিন মাস্টার সাহেব একজন ভদ্র অমায়িক ব্যবহারের অধিকারী মানুষ। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক পথে চলার পাশাপাশি প্রবাসেও সব সময় খোঁজ খবর রাখেন স্যার ফোনের মাধ্যমে।
জুবায়ের আহমদ হামজা ভাইয়ের বাসার পাশাপাশি বাসা স্যারের ছিল। সেই সুবাদে স্যারের সাথে উনারও খুব ভালো সম্পর্ক আমাকে বারবার তাগাদা দিচ্ছিলেন স্যারকে নিয়ে কিছু লেখার জন্য। এরকম একজন গুণী মানুষের কথা লিখতে পারাটাও ভাগ্যের ব্যাপার। স্যার একটি কথা বলতেন উচ্চশিক্ষিত হলেই শিক্ষিত হওয়া যায় না পারিবারিক শিক্ষাই বড় শিক্ষা তাই মা-বাবাকে সম্মান করে চলাফেরা করিও কথাগুলো আজও মনে পড়ে। সুনামগঞ্জে স্যারের সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রথমেই জিজ্ঞেস করেন খাওয়া-দাওয়া করেছ কিনা।
মা-বাবার পরেই মনে হয় শিক্ষকদের এটা দায়িত্ব মধ্যে পড়ে। ৮৯ সালের দিকে পুরাতন ইউনিয়ন অফিসের সামনে বিজয় দিবসের এনাউন্সমেন্ট করতে হাত-পা কাঁপছিল স্যার এসে পিঠে হাত রেখে বললেন আস্তে আস্তে সাহস হয়ে যাবে। পরে আমাকে নিজের হাতে একটি চিরকুট লিখে দিয়ে বললেন এটা দেখে দেখে এনাউন্স কর।
আমি বারবার বলি মানুষের জীবন দশায় মানুষ যদি সমাজের জন্যকাজকর্ম সম্পর্কে সমাজকে অবহিত করা আপনার আমার দায়িত্ব। স্যারের আরেকটি গুন আমার খুব ভালো লাগে যত কাজই থাকুক না কেন নামাজের সময় হলে উনাকে আর পাওয়া যায় না উনি নামাজে যান।
এরকম একজন গুণী মানুষ কে যেন আল্লাহ উনার রাস্তায় কবুল করেন। আমি স্যারের নেক হায়াত এবং দীর্ঘায়ু কামনা করি আমিন।
সহ-সম্পাদকঃ মির্জা জুয়েল আমিন, আজকের নলজুর পত্রিকা।
আজকের নলজুর/১৯মে২৪/বিডিএন