স্টাফ রিপোর্টারঃ-

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে কামাল শেরওয়ান শাহ পরিষদ ট্রাস্টের উদ্যােগে বন্যায় ২ শতাধিক ক্ষতিগ্রস্থ, দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মধ্যে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে।

সোমবার( ২১ অক্টোবর) বিকেল ৩ টায় উপজেলার সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নের শাহারপাড়া গ্রামস্থ মোকামবাড়িতে যুক্তরাজ্য নিবাসী বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী শাহ শেরওয়ান মোহাম্মদ কামালীর শাহ’স প্যালেস প্রাঙ্গণে উক্ত ট্রাস্টের উদ্যোগে অর্থ বিতরণ করা হয়।

অর্থ বিতরণী অনুষ্ঠানে সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক সিলেটের ডাকের চীফ রিপোর্টার সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক আমিনুল হক সিপনের পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন- সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দ্য ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস সিলেটের ব্যুরো প্রধান ইকবাল সিদ্দিকী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- সিলেট প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি ও দৈনিক আমার কাগজ সিলেটের ব্যুরো প্রধান খালেদ আহমেদ, দৈনিক ইত্তেফাক, সিলেটের ব্যুরো প্রধান হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী।

বক্তারা বলেন, যুক্তরাজ্য নিবাসী বিশিষ্ট সমাকসেবক ও শিক্ষানুরাগী শাহ শেরওয়ান মোহাম্মদ কামালী সমাজ নিবেদিত মানুষ। তিনি সুদূর যুক্তরাজ্যে থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। মানুষের প্রতি ভালবাসার কারণে বিভিন্ন সময় দেশের টানে চলে আসেন। দুস্থ ও অসহায় মানুষের পাশে থাকার তাঁর নানা দৃষ্টান্ত আছে। এর ধারাবাহিকতায় কামাল শেরওয়ান শাহ পরিষদ ট্রাস্ট গত বন্যায় সৈয়দপুর- শাহারপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ, দুস্থ ও অসহায়দের মধ্যে নগদ অর্থ বিতরণ করে। এই অর্থ বিতরণ তিনি ও তার পরিবারের সামাজিক দায়বদ্ধতার অন্যতম দৃষ্টান্ত।

পরে কামাল শেরওয়ান শাহ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার দুস্থ ও অসহায়দের মধ্যে নগদ অর্থ বিতরণ করেন।

শাহ শেরওয়ান মোহাম্মদ কামালী ফোনালাপে অতিথি সাংবাদিকদের জ্ঞাপন করেন- কামাল শেরওয়ান শাহ পরিষদ ট্রাস্টের অর্থ বন্যাকালীন সময়ে বিতরণের কথা ছিল কিন্তু বাড়িতে বাড়িতে অতিরিক্ত পানি, রাজনৈতিক ইস্যু, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও ব্যাংক থেকে পর্যাপ্ত টাকা উত্তোলন করতে অসুবিধাসহ নানা কারণে বিলম্ব হয়।

তিনি জানান, কামাল শেরওয়ান শাহ পরিষদ ট্রাস্টের সাথে তিনি ও তাঁর মাতা-পিতাসহ শাহ’স প্যালেস পরিবার পরিচালিত মাদ্রাসা, এতিমখানা, পাঠাগারের ফান্ডের সাথে এই ট্রাস্ট সম্পৃক্ত। এসময় তিনি আরও বলেন, ২০০২ সালে ওসমানী বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রুপান্তর করা হয়। কিন্তু ওসমানী বিমানবন্দর নামে আন্তর্জাতিক হলেও কাজে এখন আন্তর্জাতিক হয়নি। তাই সিলেটবাসীর সাথে বৈষম্য করা হচ্ছে। সামাজিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি ক্যাম্পেইন কমিটি ইউ কে ফর ফুলি ফাঙ্কশনাল ওসমানী ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট ট্রেজারার তিনি। এর উদ্যােগে যুক্তরাজ্য থেকে তাঁদের নেতৃত্বে প্রবাসী বাংলাদেশীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে ইংল্যান্ডের বিভিন্ন শহরে আন্দোলন হচ্ছে। ওসমানী বিমানবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রুপান্তর ও বিমান ভাড়া কমানোর জন্য এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আগামী ডিসেম্বরে বাংলাদেশে এসে আন্দোলন জোরদার করবেন। এর পাশাপাশি জাতীয় প্রেসক্লাব ও সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করবেন। এতে সাংবাদিক মহল, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও রাজনীতিবিদদের সহযোগিতা চান তাঁদের সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় পোস্ট মাস্টার আব্দুল ছালিক কামালী, সাংবাদিক আমিনুর রহমান জিলু, মাওলানা এমরান কামালী, আতিকুর রহমান কামালী, শাকিল কামালী, শাহরুন মিয়া, শফিক মিয়া, রাজিউর রহমান, শফিক মিয়া,রাজিউর রহমান, রফু মিয়া, মিটু মিয়া, চান মিয়া, হারুন মিয়া, গ্রাম পুলিশ আশ্বাদ মিয়া, আব্দুল খালিক প্রমুখ।

দোয়া পরিচালনা করেন- শাহারপাড়া দরগাহ মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল আউয়াল।

আজকের নলজুর/২৩অক্টোবর২৪/বিডিএন